অমিডন এর কাজ কি - অমিডন ট্যাবলেট খাওয়ার সময় সতর্কতা
ডাক্তারের কাছে গেলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা সমাধানে তারা অমিডন অর্থাৎ ডমপেরিডন সেবন করার পরামর্শ দিচ্ছে। কিন্তু অনেকেই অমিডন এর কাজ কি - অমিডন ট্যাবলেট খাওয়ার সময় সতর্কতা না জেনেই ওষুধ খাওয়া শুরু করে দিচ্ছে। ডাক্তারের প্রতি অন্ধবিশ্বাস বাদ দিয়ে ওষুধ সম্পর্কে জেনে তবেই ওষুধ খেতে হবে। তাই আজকে আমরা অমিডন এর কাজ কি - অমিডন ট্যাবলেট খাওয়ার সময় সতর্কতা সম্পর্কে জানবো।
আপনি একটি ঔষধ খাবেন কিন্তু আপনি ওষুধের কাজ কি, ওষুধ খাওয়ার সময় কি কি সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত এসব জানেন না। তাহলে তো আপনি ভুল পথে এগোচ্ছেন। তাই আপনাদের সুবিধার্থে এই পোস্টে Omidon 10 mg এর কাজ কি - অমিডন ট্যাবলেট খাওয়ার সময় সতর্কতা তুলে ধরা হবে। আশা করি Omidon 10 mg এর কাজ কি - অমিডন ট্যাবলেট খাওয়ার সময় সতর্কতা সম্পর্কে জেনে আপনার সময় নষ্ট হবে না।
অমিডন ১০ ট্যাবলেট এর দাম কত?
অমিডন গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ। অমিডন ১০ ট্যাবলেট ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যাল লিমিটেড এর একটি ঔষধ। অমিডন ১০ ট্যাবলেট এর মূল্য উপাদান ডমপেরিডন ম্যালিয়েট।
অমিডন ১০ ট্যাবলেট এর দাম কত - হবে সেটা বিভিন্ন বিষয়ের উপর নির্ভর করে। মাঝেমধ্যে অমিডন ১০ ট্যাবলেট দাম বেড়ে যায়। তবে সাধারণত অমিডন ১০ ট্যাবলেট এর একটি পাতায় দশটি ট্যাবলেট থাকে। অমিডন ১০ ট্যাবলেট এর একটি পাতার দাম ৫২.৫০ টাকা। অমিডন ১০ একটি ট্যাবলেট এর দাম ৩.৫০ টাকা।
Omidon 10mg এর কাজ কি - অমিডন এর কাজ কি?
অমিডন খুবই পরিচিত একটি ওষুধ। আপনি কি জানতে চান যে Omidon 10mg এর কাজ কি - অমিডন এর কাজ কি? অমিডন গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ। অমিডন ১০ ট্যাবলেট ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যাল লিমিটেড এর একটি ঔষধ। অমিডন ১০ ট্যাবলেট এর মূল উপাদান ডমপেরিডন ম্যালিয়েট।
ডমপেরিডন একটি ডোপামিন প্রতিবন্ধক, যা পাকস্থলীর সঞ্চালন গতি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। বিভিন্ন কাজে অমিডন ১০ ব্যবহার করা হয়। নিচে Omidon 10mg এর কাজ কি - অমিডন এর কাজ কি তুলে ধরা হলো:
- পেট ফাঁকা বোধ, পেটে ভার বোধ, পেটের উপরের অংশে ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।
- তীব্র বমি বমি ভাব ও বমি কমাতে সাহায্য করে।
- বুকে জ্বালাপোড়া কমাতে সাহায্য করে
- রেডিওলজিক্যাল ফলো- থ্রু পরীক্ষায় বেরিয়ামের সঞ্চালন গতি বৃদ্ধি করে।
অমিডন ১০ ট্যাবলেট কেন খাবেন?
অমিডন ১০ ট্যাবলেট ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যাল লিমিটেড এর একটি ঔষধ। অমিডন ১০ ট্যাবলেট এর মূল উপাদান ডমপেরিডন ম্যালিয়েট। ডমপেরিডন একটি ডোপামিন প্রতিবন্ধক, যা পাকস্থলীর সঞ্চালন গতি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
এখন প্রশ্ন জাগতে পারে যে অমিডন ১০ ট্যাবলেট কেন খাবেন? প্রধানত গ্যাস্ট্রিকের সমস্যার সমাধানে অমিডন ১০ ট্যাবলেট টি খাওয়া হয়। অমিডন ১০ ট্যাবলেট কেন খাবেন - এ প্রশ্নের উত্তর নিচে দেওয়া হলো:
- পেট ফাঁকা বোধ, পেটে ভার বোধ, পেটের উপরের অংশে ব্যথা হলে অমিডন ১০ ট্যাবলেট খাবেন
- তীব্র বমি বমি ভাব ও বমি কমাতে অমিডন ১০ ট্যাবলেট খাবেন
- বুকে জ্বালাপোড়া কমাতে অমিডন ১০ ট্যাবলেট খাবেন
- রেডিওলজিক্যাল ফলো- থ্রু পরীক্ষায় বেরিয়ামের সঞ্চালন গতি বৃদ্ধি করতে অমিডন ১০ ট্যাবলেট খাবেন।
অমিডন ট্যাবলেট এর উপকারিতা
অমিডন ট্যাবলেট ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যাল লিমিটেড এর একটি ঔষধ। অমিডন ট্যাবলেট এর মূল উপাদান ডমপেরিডন ম্যালিয়েট। ডমপেরিডন একটি ডোপামিন প্রতিবন্ধক, যা পাকস্থলীর সঞ্চালন গতি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
অনেকেই অমিডন ট্যাবলেট এর উপকারিতা জানতে আগ্রহী। অমিডন ট্যাবলেট এর উপকারিতা অনেক। বহু গুণে গুণান্বিত হওয়ার কারণে অমিডন ট্যাবলেট ইদানিং জনপ্রিয়তা পেয়েছে। চলুন তাহলে অমিডন ট্যাবলেট এর উপকারিতা জেনে নেওয়া যাক:
- অন্ত্রের উপরের অংশে স্বাভাবিক গতি ও স্থিতিস্থাপকতা বজায় রাখে।
- পাকস্থলীর খাদ্য অপসারণ প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করে।
- পাকস্থলী তৈরি থেকে খাদ্য উপরে উঠে আসা রোধ করে।
- পেট ফাঁকা বোধ, পেটে ভার বোধ, পেটের উপরের অংশে ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।
- তীব্র বমি বমি ভাব ও বমি কমাতে সাহায্য করে।
- বুকে জ্বালাপোড়া কমাতে সাহায্য করে ।
- রেডিওলজিক্যাল ফলো- থ্রু পরীক্ষায় বেরিয়ামের সঞ্চালন গতি বৃদ্ধি করে।
অমিডন ১০ ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম
অমিডন ১০ ট্যাবলেট খেলেই হবে না অমিডন ১০ ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম জেনে তবেই অমিডন ১০ ট্যাবলেট খেতে হবে। যেকোনো ওষুধ নিয়ম মেনে তবেই খাওয়া উচিত অন্যথায় পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। নিচে অমিডন ১০ ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম তুলে ধরা হলো:
- খাবার গ্রহণের ১৫ থেকে ৩০ মিনিট পূর্বে অমিডন ১০ ট্যাবলেট খাওয়া উচিত।
- যদি রাতে অমিডন ১০ ট্যাবলেট খাওয়ার প্রয়োজন হয় তাহলে রাতে ঘুমাতে যাবার আগে খাওয়া উচিত।
- ডাক্তার অমিডন ১০ ট্যাবলেট খাওয়ার পরামর্শ দিলে ৫-৬ ঘণ্টা পর প্রাপ্তবয়স্কদের ১-২ টি ট্যাবলেট খাওয়া যাবে।
- ডাক্তার শিশুদের অমিডন ১০ ট্যাবলেট খাওয়ার পরামর্শ দিলে পাঁচ থেকে ছয় ঘন্টা পর বাচ্চার ওজন অনুযায়ী ১-২ টি ট্যাবলেট খাওয়া যাবে।
অমিডন ১০ ট্যাবলেট এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
অমিডন ১০ ট্যাবলেট ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যাল লিমিটেড এর একটি ঔষধ। অমিডন ১০ ট্যাবলেট এর মূল উপাদান ডমপেরিডন ম্যালিয়েট। ডমপেরিডন একটি ডোপামিন প্রতিবন্ধক, যা পাকস্থলীর সঞ্চালন গতি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
তবে অমিডন ১০ ট্যাবলেট এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে। অতিরক্ত অমিডন ১০ ট্যাবলেট খেলে, অথবা কোন শারীরিক সমস্যা থাকলে অমিডন ১০ ট্যাবলেটের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। নিচে অমিডন ১০ ট্যাবলেট এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া তুলে ধরা হলো:
- রক্তে প্রোল্যাকটিনের ত্রা বৃদ্ধি করতে পারে।
- দুগ্ধ নিঃসরণের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে।
- স্তনের আকার বৃদ্ধি পেতে পারে।
- স্তনে ক্ষত সৃষ্টি হতে পারে।
- মুখের শুষ্কতা বৃদ্ধি পেতে পারে।
- পিপাসা, ঝিমুনি নার্ভাসনেস, মাথা ব্যথা বৃদ্ধি পেতে পারে।
- পাতলা পায়খানা হতে পারে।
- ত্বকে লালচে ভাব ও চুলকানি হতে পারে।
অমিডন খেলে কি মোটা হয়?
অনেকের মনেই প্রশ্ন জাগে যে অমিডন খেলে কি মোটা হয়? এই প্রশ্নের উত্তর: না। অমিডন খেলে মোটা হয় না। অমিডন ওষুধে মোটা হওয়ার কোনো উপাদান নেই। কারণ অমিডন এর মূল উপাদান ডমপেরিডন।
গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা সমাধানে অমিডন ওষুধ খাওয়া হয়। পেট ব্যাথা, বমি, বমি বমি ভাব এসব সমস্যা সমাধানে অমিডন খাওয়া হয়। তাই অমিডন খেলে মোটা হওয়ার সম্ভাবনা নেই। অর্থাৎ অমিডন খেলে মোটা হয় না।
অমিডন ওষুধ খেতে ভুলে গেলে করনীয়
আমরা মানুষ তাই আমরা মাঝেমধ্যে অনেক কিছু ভুলে যায়। বেশিরভাগ মানুষই ঔষধ খাওয়ার কথা ভুলে যায়। ওষুধ খাওয়ার কথা ভুলে গেলে পেরেশান হওয়ার কোন দরকার নেই।
অমিডন ওষুধ খেতে ভুলে গেলে করনীয় সম্পর্কে জানতে আমার সাথেই থাকুন। অমিডন ওষুধ একদম মরণঘাতী কোন রোগের ওষুধ নয়। তাই অমিডন ঔষধ খেতে ভুলে গেলে তেমন কোন সমস্যা নেই।
অমিডন ওষুধ খেতে ভুলে গেলে করনীয় হচ্ছে সমস্যা না থাকে তাহলে ওষুধ খাওয়ার কথা মনে পড়ার সাথে সাথে অমিডন ওষুধ খেয়ে ফেলুন। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ডজিং প্ল্যান চালু রাখুন। এক বেলার ঔষধ খাওয়া মিস হয়েছে বলে পরের বেলায় বেশি ওষুধ খেতে যাবেন না। এটি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।
অমিডন ট্যাবলেট খাওয়ার সময় সতর্কতা
অমিডন ওষুধ খাওয়া হয় পেটে সৃষ্ট অ্যাসিড অর্থাৎ গ্যাস কমানোর জন্য।অমিডন ১০ ট্যাবলেট ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যাল লিমিটেড এর একটি ঔষধ। অমিডন ১০ ট্যাবলেট এর মূল উপাদান ডমপেরিডন ম্যালিয়েট। ডমপেরিডন একটি ডোপামিন প্রতিবন্ধক, যা পাকস্থলীর সঞ্চালন গতি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
অমিডন ট্যাবলেট খাওয়ার সময় সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। কারণ অমিডন ট্যাবলেট এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া আছে। আবার অমিডন ট্যাবলেট এর মূল উপাদান ডমপেরিডন অন্য ওষুধের সাথে মিথষ্ক্রিয়া করে শরীরের ক্ষতি করতে পারে।
আবার যখন তখন অমিডন ট্যাবলেট খাওয়া যাবে না। অমিডন ট্যাবলেট খাওয়ার পূর্বে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। আশা করি আপনি অমিডন ট্যাবলেট খাওয়ার সময় সতর্কতা অবলম্বন করবেন।
বাচ্চাদের ক্ষেত্রে সব সময় সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়। বাচ্চাদের কি খাওয়াবেন, কি পড়াবেন সকল কিছু সম্পর্কে খুব ভালোভাবে জেনে নিতে হয়। তাই আজকে আমরা অমিডন সিরাপ কিসের ঔষধ - বাচ্চাদের অমিডন সিরাপ খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানব। কারণ বাচ্চাদের গ্যাস্ট্রিকের সমস্যার সমাধানে অমিডন খুব জনপ্রিয় ওষুধ। চলুন অমিডন সিরাপ কিসের ঔষধ - বাচ্চাদের অমিডন সিরাপ খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
অমিডন খাওয়ার আগে না পরে?
অমিডন ওষুধ খাওয়া হয় পেটে সৃষ্ট অ্যাসিড অর্থাৎ গ্যাস কমানোর জন্য। অনেকেই জানেন না যে অমিডন খাওয়ার আগে না পরে? অমিডন খাওয়ার আগে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
খাবার গ্রহণের ১৫ থেকে ৩০ মিনিট পূর্বে অমিডন ১০ ট্যাবলেট খাওয়া উচিত। যদি রাতে অমিডন ১০ ট্যাবলেট খাওয়ার প্রয়োজন হয় তাহলে রাতে ঘুমাতে যাবার আগে খাওয়া উচিত। আশা করি বুঝতে পেরেছেন যে অমিডন খাওয়ার আগে না পরে।
অমিডন ওষুধ খাওয়ার সময়কালীন করনীয়
অমিডন গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ। অমিডন ১০ ট্যাবলেট ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যাল লিমিটেড এর একটি ঔষধ। অমিডন ১০ ট্যাবলেট এর মূল উপাদান ডমপেরিডন ম্যালিয়েট। ডমপেরিডন একটি ডোপামিন প্রতিবন্ধক, যা পাকস্থলীর সঞ্চালন গতি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
অমিডন ওষুধ খাওয়ার সময়কালীন করনীয় সম্পর্কে জেনে নিলে পরবর্তীতে কোনরূপ সমস্যা হবে না। খাবার গ্রহণের ১৫ থেকে ৩০ মিনিট পূর্বে অমিডন ১০ ট্যাবলেট খাওয়া উচিত। অমিডন ওষুধ খাওয়ার সময়কালীন করনীয় হলো:
- বেশি পানি পান করা।
- গুরুপাক খাবার পরিহার করা।
- কোনো ওষুধের সাথে মিশিয়ে খাওয়া যাবে না।
- ডাক্তারের পরামর্শ মেনে অমিডন ওষুধ খাওয়া।
অমিডন সিরাপ কিসের ঔষধ?
অমিডন সিরাপ মূলত বাচ্চাদের গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ। বাচ্চারা অমিডন ট্যাবলেট খেতে পারে না তাই বিকল্প হিসেবে বাচ্চাদের জন্য অমিডন সিরাপ তৈরি করা হয়। অমিডন সিরাপ ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যাল লিমিটেড এর একটি ঔষধ। অমিডন সিরাপ এর মূল উপাদান ডমপেরিডন ম্যালিয়েট।
ডমপেরিডন একটি ডোপামিন প্রতিবন্ধক, যা পাকস্থলীর সঞ্চালন গতি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। অমিডন সিরাপ কিসের ঔষধ? এই প্রশ্নের উত্তর একাধিক। অমিডন সিরাপ কিসের ঔষধ নিমরূপ:
- পেট ফাঁপা, পেট ব্যাথা, পেটে ভার বোধ সমাধানের ওষুধ।
- বমি বমি ভাব কমানোর ওষুধ
- এসিডিটির জন্য সৃষ্ট বুকে জ্বালা পোড়া কমানোর ওষুধ।
বাচ্চাদের অমিডন সিরাপ খাওয়ার নিয়ম
বাচ্চাদের ক্ষেত্রে ওষুধ ব্যবহারে সতর্ক হওয়া উচিত। বাচ্চাদের গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা সমাধানে অমিডন সিরাপ খুবই কার্যকরী। তবে অবশ্যই বাচ্চাদের অমিডন সিরাপ খাওয়ানোর পূর্বে ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন।
বাচ্চাদের অমিডন সিরাপ খাওয়ার নিয়ম না জানলে আপনি বাচ্চাদের অমিডন সিরাপ খাওয়াবেন কীভাবে। তাই বাচ্চাদের অমিডন সিরাপ খাওয়ার নিয়ম জানা প্রয়োজন। বাচ্চাদের অমিডন সিরাপ খাওয়ার নিয়ম নিম্নরূপ:
- বাচ্চাদের ওজন অনুযায়ী অমিডন সিরাপ খাওয়াতে হবে।
- ডাক্তার বাচ্চাদের অমিডন সিরাপ খাওয়ার পরামর্শ দিলে পাঁচ থেকে ছয় ঘন্টা পর বাচ্চার ওজন অনুযায়ী ২-৪ মিলি সিরাপ খাওয়ানো যাবে।
- বাচ্চাদের খাবার খাওয়ার পূর্বে অমিডন সিরাপ খাওয়াতে হবে।
অমিডন সিরাপ এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
অমিডন সিরাপ ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যাল লিমিটেড এর একটি ঔষধ। অমিডন সিরাপ এর মূল উপাদান ডমপেরিডন ম্যালিয়েট। ডমপেরিডন একটি ডোপামিন প্রতিবন্ধক, যা পাকস্থলীর সঞ্চালন গতি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
তবে অমিডন সিরাপ এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে। অতিরক্ত অমিডন সিরাপ খেলে, অথবা কোন শারীরিক সমস্যা থাকলে অমিডন সিরাপ খাওয়ার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। নিচে অমিডন সিরাপ এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া তুলে ধরা হলো:
- রক্তে প্রোল্যাকটিনের মাত্রা বৃদ্ধি করতে পারে।
- দুগ্ধ নিঃসরণের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে।
- স্তনের আকার বৃদ্ধি পেতে পারে।
- স্তনে ক্ষত সৃষ্টি হতে পারে।
- মুখের শুষ্কতা বৃদ্ধি পেতে পারে।
- পিপাসা, ঝিমুনি নার্ভাসনেস, মাথা ব্যথা বৃদ্ধি পেতে পারে।
- পাতলা পায়খানা হতে পারে।
- ত্বকে লালচে ভাব ও চুলকানি হতে পারে।
অমিডন সিরাপ এর কাজ কি?
অমিডন খুবই পরিচিত একটি ওষুধ। আপনি কি জানতে চান যে অমিডন সিরাপ এর কাজ কি - অমিডন গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ। অমিডন সিরাপ ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যাল লিমিটেড এর একটি ঔষধ। অমিডন
সিরাপ এর মূল উপাদান ডমপেরিডন ম্যালিয়েট।
ডমপেরিডন একটি ডোপামিন প্রতিবন্ধক, যা পাকস্থলীর সঞ্চালন গতি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। বিভিন্ন কাজে অমিডন সিরাপ ব্যবহার করা হয়। নিচে অমিডন সিরাপ এর কাজ কি তুলে ধরা হলো:
- পেট ফাঁকা বোধ, পেটে ভার বোধ, পেটের উপরের অংশে ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।
- তীব্র বমি বমি ভাব ও বমি কমাতে সাহায্য করে।
- বুকে জ্বালাপোড়া কমাতে সাহায্য করে
- রেডিওলজিক্যাল ফলো- থ্রু পরীক্ষায় বেরিয়ামের সঞ্চালন গতি বৃদ্ধি করে।
অমিডন সিরাপ খাওয়ার নিয়ম
অমিডন সিরাপ খেলেই হবে না অমিডন সিরাপ খাওয়ার নিয়ম জেনে তবেই অমিডন সিরাপ খেতে হবে। যেকোনো ওষুধ নিয়ম মেনে তবেই খাওয়া উচিত অন্যথায় পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। নিচে অমিডন সিরাপ খাওয়ার নিয়ম তুলে ধরা হলো:
- খাবার গ্রহণের ১৫ থেকে ৩০ মিনিট পূর্বে অমিডন সিরাপ খাওয়া উচিত।
- যদি রাতে অমিডন সিরাপ খাওয়ার প্রয়োজন হয় তাহলে রাতে ঘুমাতে যাবার আগে খাওয়া উচিত।
- ডাক্তার অমিডন সিরাপ খাওয়ার পরামর্শ দিলে ৫-৬ ঘণ্টা পর প্রাপ্তবয়স্কদের ২০ মিলি সিরাপ খাওয়া যাবে।
- ডাক্তার শিশুদের অমিডন সিরাপ খাওয়ার পরামর্শ দিলে পাঁচ থেকে ছয় ঘন্টা পর বাচ্চার ওজন অনুযায়ী ২-৪ মিলি সিরাপ খাওয়া যাবে।
- বাচ্চাদের ক্ষেত্রে অমিডন সিরাপ খাওয়ার পরিমান বাচ্চার ওজনের ওপর নির্ভর করে।
অমিডন কেন খায়?
অমিডন ট্যাবলেট ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যাল লিমিটেড এর একটি ঔষধ। অমিডন ট্যাবলেট এর মূল উপাদান ডমপেরিডন ম্যালিয়েট। ডমপেরিডন একটি ডোপামিন প্রতিবন্ধক, যা পাকস্থলীর সঞ্চালন গতি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
অমিডন কেন খায়? এ প্রশ্ন মাঝে মাঝেই আসে। অমিডন ট্যাবলেট এর উপকারিতা অনেক। তাই অমিডন খায়। বহু গুণে গুণান্বিত হওয়ার কারণে অমিডন ট্যাবলেট ও সিরাপ ইদানিং জনপ্রিয়তা পেয়েছে।
চলুন তাহলে অমিডন কেন খায় জেনে নেওয়া যাক:
- অন্ত্রের উপরের অংশে স্বাভাবিক গতি ও স্থিতিস্থাপকতা বজায় রাখে।
- পাকস্থলীর খাদ্য অপসারণ প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করে।
- পাকস্থলী তৈরি থেকে খাদ্য উপরে উঠে আসা রোধ করে।
- পেট ফাঁকা বোধ, পেটে ভার বোধ, পেটের উপরের অংশে ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।
- তীব্র বমি বমি ভাব ও বমি কমাতে সাহায্য করে।
- বুকে জ্বালাপোড়া কমাতে সাহায্য করে ।
- রেডিওলজিক্যাল ফলো- থ্রু পরীক্ষায় বেরিয়ামের সঞ্চালন গতি বৃদ্ধি করে।
উপরোক্ত উপকারিতার কারণে অমিডন খায় ।
FAQs: অমিডন সম্পর্কে কিছু প্রশ্ন
১) প্রশ্ন: গর্ভবতী মহিলাদের অমিডন সেবন করা যাবে কি না?
উত্তর: না, গর্ভবতী মহিলাদের অমিডন সেবন করা যাবে না।
২) প্রশ্ন: অমিডন মাত্রাধিক সেবনে কি হতে পারে?
উত্তর: অমিডন মাত্রাধিক সেবনে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে।
৩) প্রশ্ন: সর্বোচ্চ কত দিন অমিডন ওষুধ সেবন করা যাবে?
উত্তর: সর্বোচ্চ ১২ সপ্তাহ অমিডন ওষুধ সেবন করা যাবে।
৪) প্রশ্ন: অমিডন সাসপেনশনের দাম কত?
উত্তর: অমিডন ৬০ মিলি সাসপেনশনের দাম ৪০ টাকা।
৫) প্রশ্ন: কাদের আমিডন সেবন করা নিষিদ্ধ?
উত্তর: নবজাতক শিশু ও অতি সংবেদনশীল রোগীদের আমিডন সেবন করা নিষিদ্ধ।
লেখকের শেষ কথা
আজকের পোস্টে অমিডন সম্পর্কে। এই পোস্টে আমরা অমিডন এর কাজ কি - অমিডন ট্যাবলেট খাওয়ার সময় সতর্কতা সম্পর্কে জেনেছি। কোন কিছু সম্পর্কে না জানা অন্ধের মত কাজ করা বোকামি। তাই আশা রাখছি অমিডন এর কাজ কি - অমিডন ট্যাবলেট খাওয়ার সময় সতর্কতা সম্পর্কে জেনে আপনি উপকৃত হয়েছেন।
এখানে আমরা অমিডন ট্যাবলেট এর পাশাপাশি অমিডন সিরাপ নিয়েও আলোচনা করেছি। অমিডন সিরাপ কিসের ঔষধ - বাচ্চাদের অমিডন সিরাপ খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানা সকলের উচিত। অমিডন সিরাপ কিসের ঔষধ - বাচ্চাদের অমিডন সিরাপ খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে আর কোনো প্রশ্ন থাকলে কমেন্ট বক্সে জানান।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url