কম্বোডিয়া দেশ কেমন - কম্বোডিয়া ভিসার দাম কত
পূর্বে কম্বোডিয়া একটি গরিব দেশ থাকলেও বর্তমানে কম্বোডিয়ায় একটি ধনী রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। কম্বোডিয়ার এত তাড়াতাড়ি এত উন্নয়ন দেখে অনেকের মনে প্রশ্ন জাগে যে কম্বোডিয়া কাজের বেতন - কম্বোডিয়া দেশ কেমন? আজকের পোস্টে কম্বোডিয়া কাজের বেতন - কম্বোডিয়া দেশ কেমন? এসব নিয়েই আলোচনা করা হবে।
কামড়িয়া দেশ নিয়ে মানুষের আগ্রহের শেষ নেই। এদেশে যেমন ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট রয়েছে তেমনি রয়েছে প্রচুর কাজের সুযোগ। আর এখানে কাজ করলে অনেক বেশি পরিমাণ অর্থ উপার্জন করা যায়।
কম্বোডিয়া কোন মহাদেশে অবস্থিত
সাধারণ জ্ঞানের অংশ হিসেবে অবশ্যই জানা উচিত যে কম্বোডিয়া কোন মহাদেশে অবস্থিত ? কম্বোডিয়ার এশিয়া মহাদেশে অবস্থিত। এশিয়া মহাদেশের দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চলে কম্বোডিয়া অবস্থিত। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার উন্নয়নশীল দেশের মধ্যে কম্বোডিয়া একটি। ঔপনিকবেশিকতা, ইন্দোচীন যুদ্ধ, খোমাররুজ শাসন ধারা একাধিকবার কম্বোডিয়া বিধ্বস্ত হয়েছে।
কম্বোডিয়া কাজের বেতন
কম্বোডিয়া তে শিল্পায়নের কারণে কাজের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। আপনি যদি কাজের জন্য কম্বোডিয়া যেতে ইচ্ছুক হন তাহলে আপনার অবশ্যই কম্বোডিয়া কাজের বেতন সর্ম্পকে জানা প্রয়োজন। কম্বোডিয়া কাজের বেতন সর্বনিম্ন ৪০ হাজার থেকে সর্বোচ্চ ২ লাখ পর্যন্ত হয়।
আপনার কোন কাজে অভিজ্ঞতা না থাকলে আপনার বেতন কম হবে। এক্ষেত্রে আপনার বেতন হতে পারে ৪০ হাজার থেকে ৮০ হাজার পর্যন্ত। আবার আপনি যদি কোন কাজে অভিজ্ঞ হয়ে থাকেন তাহলে আপনার বেতন হবে 80 হাজার থেকে 2 লাখ পর্যন্ত ।
কম্বোডিয়াই প্লাম্বারিং কাজের বেতন সবচেয়ে বেশি। প্লাম্বিং কাজে আপনার অভিজ্ঞতা থাকলে, আপনি অনেক লাভবান হবেন। এরপর ড্রাইভিং ভিসা নিয়ে গেলে আপনি ভালো মানের বেতন পাবেন। আপনার ফরাসি ভাষায় দক্ষতা থাকলে এবং আপনার সুদর্শন হলে রেস্টুরেন্ট ভিসা নিয়ে কম্বোডিয়া যেতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনার অনেক টাকা ইনকাম হবে ।
কম্বোডিয়া দেশ কেমন
কম্বোডিয়ার এশিয়া মহাদেশে অবস্থিত। এশিয়া মহাদেশের দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চলে কম্বোডিয়া অবস্থিত। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার উন্নয়নশীল দেশের মধ্যে কম্বোডিয়া একটি। ঔপনিকবেশিকতা, ইন্দোচীন যুদ্ধ, খোমাররুজ শাসন ধারা একাধিকবার কম্বোডিয়া বিধ্বস্ত হয়েছে।
কম্বোডিয়ার আয়তন ১,৮১,০৩৫ বর্গ কিলোমিটার। কম্বোডিয়ার উত্তর-পশ্চিমে থাইল্যান্ড, উত্তরে লাওস, পূর্বে ভিয়েতনাম এবং দক্ষিণ-পশ্চিমে থাইল্যান্ড উপসাগর অবস্থিত। কম্বোডিয়া শীত ও গ্রীষ্ম এই দুটি ঋতু সম্পন্ন। কম্বোডিয়ার নাগরিক ফরাসি ভাষায় কথা বলে। কম্বোডিয়ার নাগরিকদের মধ্যে বৌদ্ধ ধর্মালম্বীদের সংখ্যা বেশি।
কম্বোডিয়াই রাজতন্ত্র বিদ্যমান। এখানে একজন রাজা, রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রী থাকেন। কম্বোডিয়া বর্তমানে স্বাধীন একটি রাষ্ট্র।
সমৃদ্ধ ইতিহাস, সংস্কৃতি ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য কম্বোডিয়া বেশ পরিচিত। কম্বোডিয়া তে অবস্থিত অ্যাঙ্গকর ওয়াট- বিশ্বের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় স্থাপনা। অ্যাঙ্গকর ওয়াট একটি ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট। কম্বোডিয়ার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অনেক সমৃদ্ধ। এখানে রয়েছে সমুদ্র সৈকত, উদ্ভিদ প্রাণীর বৈচিত্র্যময় বনাঞ্চল এবং মেকং নদী।
কম্বোডিয়ার মানুষজন বন্ধুসুলভ এবং অতিথি পরায়ন। আপনি যদি কম্বোডিয়ার কোন নাগরিকের বাড়িতে অতিথি হিসেবে যান তাহলে আপনাকে তারা অনেক সম্মান করবে। তবে কম্বোডিয়া কিছু আর্থিক সমস্যায় ভুগছে। কম্বোডিয়ার স্বাস্থ্যে এবং শিক্ষা খাত বর্তমানে চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন। আশা করি আপনি বুঝতে পেরেছেন যে কম্বোডিয়া দেশ কেমন।
কম্বোডিয়া যেতে কত টাকা লাগে
কম্বোডিয়া অল্প দিনের মধ্যে যে উন্নয়ন করেছে তা আপনার ধারণার বাইরে। বর্তমানে কম্বোডিয়া একটি ধনী দেশের পরিণত হয়েছে। এদেশে শিল্পায়নের কারণে বিভিন্ন দেশ থেকে শ্রমিক হায়ার করা হচ্ছে। বাংলাদেশ থেকে অসংখ্য মানুষ কম্বোডিয়া তে গিয়েছেন অথবা যেতে ইচ্ছুক। যে দেশে কাজের বেতন বেশি, সুযোগ-সুবিধা বেশি সে দেশেই মানুষ যাবে এইটা স্বাভাবিক।
তবে অনেকেই জানেন না যে কম্বোডিয়া যেতে কত টাকা লাগে ? তারা এই বিষয়ে জানতে গুগলে সার্চ করেন। তাই কম্বোডিয়া যেতে কত টাকা লাগে জানতে হলো পোস্ট টি ফলো করুন। বর্তমানে কম্বোডিয়া তে যেতে প্রায় ছয় থেকে সাত লক্ষ টাকা খরচ হয়। বিশেষ ক্ষেত্রে এই খরচ ৮ থেকে ৯ লক্ষ টাকা পর্যন্ত হতে পারে।
তবে আপনি যদি সরকারি ভাবে শ্রমিক হিসেবে কম্বোডিয়া তে যেতে পারেন তাহলে আপনার খরচ চার থেকে পাঁচ লাখ টাকার মধ্যে হয়ে যাবে। আবার কম্বোডিয়া তে আপনার পরিচিত কেউ থাকলে আপনি ৪ থেকে ৫ লাখ টাকায় কম্বোডিয়া তে যেতে পারবেন। তাই প্রথমে দালালের কাছে না যে ভালোভাবে খোঁজখবর নিন।
কম্বোডিয়া ১ টাকা বাংলাদেশের কত টাকা
আপনি যদি কম্বোডিয়া কাজ করতে যেতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই জানতে হবে কম্বোডিয়া ১ টাকা বাংলাদেশের কত টাকা ? বর্তমানে কম্বোডিয়ার টাকার মান কম। কম্বোডিয়ার টাকাকে কম্বোডিয়ান রিয়াল বলে। বাংলাদেশের থেকে কম্বোডিয়ান রিয়ালের মান কম।
কম্বোডিয়া ১ টাকা অর্থাৎ ১ কম্বোডিয়ান রিয়াল = ০.২৭০৬ বাংলাদেশী টাকা। আপনি হয়তো ভাবছেন তাহলে কম্বোডিয়ায় কাজ করতে যা দরকার কি! কম্বোডিয়ার টাকার মান কম তাই তারা অল্প কাজে আপনাকে বেশি টাকা দিবে যা বাংলাদেশী কাজের টাকা অনুযায়ী বেশি হবে। তবে দিন দিন কম্বোডিয়ার যেভাবে উন্নতি করছে তাতে খুব শীঘ্রই কম্বোডিয়ান রিয়ালের মান বাংলাদেশের টাকার মানকে ছাড়িয়ে যাবে।
কম্বোডিয়াতে সর্বোচ্চ বেতন কত
কম্বোডিয়াতে সর্বোচ্চ বেতন শুধু কোম্পানির সিইও -রা পান। তারা জ্ঞানী এবং পরিশ্রমের দিক দিয়ে সকলের থেকে এগিয়ে থাকেন যার ফলে কোম্পানির সিইও দের বেতন সর্বোচ্চ। এখন আপনার মনে প্রশ্ন জাগতে পারে যে কম্বোডিয়াতে সর্বোচ্চ বেতন কত? আপনার প্রশ্নের উত্তর জানতে আর্টিকেল টি পড়তে থাকুন।
কম্বোডিয়াতে একজন সিইও এর মাসিক বেতন ১৯,২৫৫,৮৬৫ KHR যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৫,১৯,৯০৯ টাকা। অর্থাৎ কমোডিয়াতে একজন সিইও মাসে ৫ লক্ষাধিক টাকা আয় করেন। এই সাপেক্ষে বলা যায় যে কম্বোডিয়াতে সর্বোচ্চ বেতন - ৫ লক্ষাধিক টাকা।
কম্বোডিয়া মুসলিম জনসংখ্যা কত
কম্বোডিয়ার মোট জনসংখ্যা - ১৭,৩০০,০০ জন। কম্বোডিয়ার মোট জনসংখ্যার ৯৭.১% বৌদ্ধ, ২% মুসলিম, ০.৩ % খ্রিষ্টান, ০.৫% অন্যান্য। বর্তমানে কম্বোডিয়াতে ইসলাম ধর্ম স্বীকৃত একটি ধর্ম। ইসলাম ধর্মালম্বীরা অন্যান্য ধর্মালম্বীদের মতই রাজনৈতিক ও অন্যান্য সকলে অধিকার ভোগ করেন।
২০১৯ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী কম্বোডিয়া মুসলিম জনসংখ্যা- ৩১১,০৪৫ জন । এই সংখ্যা বর্তমানে কিছুটা বৃদ্ধি পেতে পারে। অর্থাৎ কম্বোডিয়াতে মুসলিম জনসংখ্যা খুব একটা কম নয়।
এখন পৃথিবীতে যেকোন দেশে যাওয়ার জন্য ভিসার প্রয়োজন হয়। কম্বোডিয়াতে যেতে হলেও আপনার ভিসার প্রয়োজন হবে। তাই কম্বোডিয়া ভিসার দাম কত - কম্বোডিয়া ভিসা প্রসেসিং সম্পর্কিত সকল তথ্য আপনার জানা প্রয়োজন। যেনো কম্বোডিয়া তে যাওয়ার সময় আপনি বিপদমুক্ত থাকেন। তাই এই পোস্টে কম্বোডিয়া ভিসার দাম কত - কম্বোডিয়া ভিসা প্রসেসিং নিয়ে আলোচনা করা হবে।
কম্বোডিয়া ভিসার দাম কত
কম্বোডিয়া তে বিভিন্ন রকমের ভিসা নিয়ে প্রবেশ করা যায়। কম্বোডিয়া ভিসার দাম কত? এটি নির্ভর করবে আপনি কোন ভিসা নিয়ে কম্বোডিয়া যাচ্ছেন। সাধারণত বিজনেস ভিসা, টুরিস্ট ভিসা বা যে কোন ভিসার দাম 8 থেকে 10 হাজার টাকা হয়। এর সাথে ভিসা প্রসেসিং বিমান ভাড়া এবং অন্যান্য খরচ যুক্ত হয়ে মোট টাকার পরিমান হয় 6 থেকে 8 লক্ষ টাকা।
সকল খরচ বাদে দিয়ে কম্বোডিয়া ভিসার দাম নিচে তুলে ধরা হলো:
বিজনেস ভিসা -
- ৩০ থেকে ৩৫ মার্কিন ডলার । যা বাংলাদেশী টাকায় ৩৩৩০ থেকে ৩ ৮৫০ টাকা।
টুরিস্ট ভিসা -
- ৩০ থেকে ৩৫ মার্কিন ডলার। যা বাংলাদেশী টাকায় ৩৩৩০ থেকে ৩ ৮৫০ টাকা।
স্টুডেন্ট ভিসা -
- ১৬০ মার্কিন ডলার। যা বাংলাদেশী টাকায় ১৭৬০০ টাকা।
ওয়ার্ক পারমিট ভিসা -
- ২৮৫ মার্কিন ডলার। যা বাংলাদেশী টাকায় ৩১৩৫০ টাকা
ই ভিসা -
- আবেদন ফি সহ ৪০ থেকে ৪৫ মার্কিন ডলার। যা বাংলাদেশী টাকায় 4400 থেকে 4950 টাকা।
ওয়ান ইয়ার মাল্টিপল এন্ট্রি বিজনেস ভিসা-
- ২৮০ থেকে ৩০০ মার্কিন ডলার। যা বাংলাদেশী টাকায় ৩০৮০০ থেকে ৩৩০০০ টাকা।
উল্লেখ্য এখানে শুধু ভিসার দাম ধরা হয়েছে অন্যান্য কোন খরচ ধরা হয়নি । এখানে এক ডলার সমান বাংলাদেশি টাকায় ১১০ টাকা ধরে হিসাব করা হয়েছে।
কম্বোডিয়া ভিসা প্রসেসিং
কম্বোডিয়া ভিসা প্রসেসিং খুবই সহজ। কমেডিয়ান ভিসা প্রসেসিং করার জন্য আপনাকে প্রথমে comedian e visa application- এই ওয়েবসাইটে অনুপ্রবেশ করতে হবে। এরপর একটি অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে। একাউন্ট খোলার পরে ভিসার জন্য আপনাকে এপ্লাই করতে হবে। ভিসা এপ্লাই করার জন্য আপনার বেশ কিছু ডকুমেন্ট এর প্রয়োজন হবে। যেমন:
- ছয় মাস মেয়াদী বৈধ পাসপোর্ট এর স্ক্যান কপি
- এক কপি রঙিন ছবির স্ক্যান কপি আবেদন ফ্রি জমা দেওয়া
- হোটেল বুকিং কপি
- বিমানের টিকিটের স্ক্যান কপি
পর্যাপ্ত এবং সঠিক তথ্য দিয়ে ফরম পূরণ করার পর আবেদন সাবমিট করতে হবে। আপনি দুই থেকে তিন কার্য দিবসের মধ্যে ইমেইলে ই ভিসা পেয়ে যাবেন। ইমেইলে প্রাপ্ত ই ভিসা প্রিন্ট করে কম্বোডিয়া প্রবেশের সময় দেখাতে হবে। এইতো হয়ে গেল ভিসা প্রসেসিংয়ের কাজ।
কম্বোডিয়া টুরিস্ট ভিসার দাম কত
কম্বোডিয়া প্রাকৃতিক সৌন্দর্য লীলাভূমি। তাই এ দেশে প্রতিবছর অনেক মানুষ টুরিস্ট হিসেবে গমন করেন। বাংলাদেশ থেকেও অনেকে ট্যুরিস্ট হিসেবে কম্বোডিয়া যান। আপনি কি জানেন কম্বোডিয়া টুরিস্ট ভিসার দাম কত ? না জানলে সমস্যা নেই কারণ আপনি এখনই কম্বোডিয়া টুরিস্ট ভিসার দাম কত জেনে যাবেন।
সকল খরচ বাদে শুধু কম্বোডিয়া টুরিস্ট ভিসার দাম মাত্র ৩০ থেকে ৩৫ মার্কিন ডলার। যা বাংলাদেশী টাকায় ৩৩৩০ থেকে ৩৮৫০ টাকা। এর সাথে আপনি যদি আনুষাঙ্গিক খরচ যেমন: ভিসা প্রসেসিং ফি, বিমানের টিকিট ও অন্যান্য সকল খরচ যোগ করেন তাহলে মোট খরচ হবে ২ থেকে ৩ লাখ টাকা।
কম্বোডিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা
আপনি যদি কম্বোডিয়ায় কাজ করতে যেতে চান তাহলে আপনার কম্বোডিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা থাকা লাগবে। কম্বোডিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা বিহীন আপনি কম্বোডিয়াতে কাজ করতে গেলে আপনাকে আইনের আওতায় নেওয়া হবে। নিচে কম্বোডিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পাওয়ার জন্য যা যা করণীয় সেসব তুলে ধরা হলো:
প্রথমে একটি কোম্পানির কাছে কাজের আবেদন করতে হবে। কাজের আবেদন দিয়ে তাহলে কোম্পানি থেকে চুক্তি পত্র নিতে হবে। চুক্তিপত্র নিয়ে এর সাথে প্রয়োজনীয় সকল ডকুমেন্ট জমা দিয়ে ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। ভিসা আবেদন করার জন্য আপনার ছয় মাস মেয়াদী পাসপোর্ট থাকা লাগবে।
এরপর আপনি যখন ভিসা পাবেন তখন কম্বোডিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে ওয়ার্ক পারমিট নিতে হবে। আপনি যখন কম্বোডিয়াতে পৌঁছাবেন তখন আপনার ওয়ার্ক পারমিট এবং ভিসার সাথে স্থানীয় প্রশাসনে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে।
কম্বোডিয়া ভিসা খরচ
কম্বোডিয়া ভিসা খরচ কত হবে আপনি কোন ভিসা নিয়ে কম্বোডিয়া তে যাবেন। বিভিন্ন রকমের ভিসা নিয়ে কম্বোডিয়া যাওয়া যায়। স্টুডেন্ট ভিসা, ট্যুরিস্ট ভিসা, বিজনেস ভিসা, ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ইত্যাদী।
কম্বোডিয়া ভিসা খরচ সকল ভিসার ক্ষেত্রে এক নয়। নিচে বিভিন্ন কম্বোডিয়া ভিসার খরচ তুলে ধরা হলো:
- আপনি স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে কম্বোডিয়া গেলে আপনার খরচ হবে ৩-৪ লাখ টাকার মত ।
- বিজনেস ভিসা নিয়ে কম্বোডিয়া গেলে ৪ লাখ টাকা খরচ হবে।
- ওয়ার্ক ভিসা সেটা যেকোনো ধরনের কাজ হতে পারে। ওয়ার্ক ভিসা নিয়ে কম্বোডিয়া গেলে আপনার খরচ হবে ৬ থেকে ৭ লাখ টাকা।
- টুরিস্ট ভিসা নিয়ে কম্বোডিয়া গেলে আপনার খরচ হবে ২ থেকে ৩ লাখ টাকা।
কম্বোডিয়া টাকার মান
আপনি যদি কম্বোডিয়া কাজ করতে যেতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই কম্বোডিয়া টাকার মান জানতে হবে। বর্তমানে কম্বোডিয়া টাকার মান কম। কম্বোডিয়ার টাকাকে কম্বোডিয়ান রিয়াল বলে। বাংলাদেশের থেকে কম্বোডিয়ান রিয়ালের মান কম।
আপনি হয়তো ভাবছেন তাহলে কম্বোডিয়ায় কাজ করতে যা দরকার কি! কম্বোডিয়ার টাকার মান কম তাই তারা অল্প কাজে আপনাকে বেশি টাকা দিবে যা বাংলাদেশী কাজের টাকা অনুযায়ী বেশি হবে। একই কাজ বাংলাদেশে করলে আপনি যে পরিমাণ টাকা পাবেন একই কাজ কম্বোডিয়ার করলে বেশি বেতন পাবেন। চলুন বাংলাদেশের সাপেক্ষে কম্বোডিয়া টাকার মান অর্থাৎ কমেডিয়ান রিয়ালের মান হিসাব করা যাক।
- 1 KHR - 0.02706 টাকা
- 10 KHR - 0.2706 টাকা
- 100 KHR - 2.706 টাকা
- 500 KHR - 13.53 টাকা
- 1000 KHR - 27.06 টাকা
তবে দিন দিন কম্বোডিয়া যেভাবে উন্নতি করছে তাতে খুব শীঘ্রই কম্বোডিয়ান রিয়ালের মান বাংলাদেশের টাকার মানকে ছাড়িয়ে যাবে।
FAQs:কম্বোডিয়া দেশ কেমন সম্পর্কে কিছু সাধারণ প্রশ্ন
১) প্রশ্ন: কম্বোডিয়া টাকার মান এত কম কেন?
উত্তর: কমডিয়া আগে এত উন্নত ছিল না। বিভিন্ন যুদ্ধের কারণে বিধ্বস্ত ছিল। কম্বোডিয়া পূর্বে গরীব রাষ্ট্র ছিলো তাই কম্বোডিয়া টাকার মান এত কম ।
২) প্রশ্ন: কম্বোডিয়া তে কোন কাজের বেতন বর্তমানে সবচেয়ে বেশি?
উত্তর: বর্তমান প্রেক্ষাপটে কম্বোডিয়া তে গার্মেন্টস সম্পর্কিত কাজের বেতন সবচেয়ে বেশি।
৩) প্রশ্ন: উচ্চ শিক্ষার জন্য কম্বোডিয়া দেশ কেমন?
উত্তর: উচ্চশিক্ষার জন্য কম্বোডিয়া দেশ ভালো। এখানেও আন্তর্জাতিক মানের বেশ কিছু বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে।
৪) প্রশ্ন: কম্বোডিয়ার রাজধানীর নাম কি?
উত্তর: কম্বোডিয়ার রাজধানীর নাম ফনম পেন।
৫) প্রশ্ন: কম্বোডিয়ায় মোট কতটি মসজিদ রয়েছে?
উত্তর: কম্বোডিয়ার সংস্কৃতি ও ধর্ম মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান অনুযায়ী ২০১৬ সাল পর্যন্ত কম্বোডিয়াতে মোট ৮৮৪ টি মসজিদ ছিল।
লেখক এর শেষ কথা
আপনি নিশ্চয়ই এতক্ষণে কম্বোডিয়া দেশ কেমন সেই সম্পর্কিত অনেক তথ্য জেনে গেছেন। বর্তমানে অনেক মানুষ জীবন ও জীবিকার তাগিদে কম্বোডিয়া যাচ্ছে। কম্বোডিয়ায় কাজের পরিবর্তে ভালো পরিমাণ বেতন পাওয়া যায়। কিন্তু ও কোন দেশে যাওয়ার আগে সে দেশ কেমন দেশে পরিবেশ কেমন জানা প্রয়োজন।
কোনো দেশে যাওয়ার আগে অবশ্যই সে দেশের ভিসা থাকা প্রয়োজন। না হলে আপনি ছেড়ে এসে প্রবেশ করতে পারবেন না। ভিসার জন্য আবেদন করার আগে কম্বোডিয়া ভিসার দাম কত - কম্বোডিয়া ভিসা প্রসেসিং যাব তোর সকল তথ্য জেনে নেওয়া প্রয়োজন। তাহলে আপনি এডভান্স থাকতে পারবেন এবং আপনাকে কেউ ঠকাতে পারবেনা।
আশা রাখছি এই আর্টিকেল সম্পূর্ণ পড়ার পর আপনি অনেক উপকৃত হয়েছেন। আর্টিকেলটি ভালো লাগলে অবশ্যই বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন। কম্বোডিয়া সম্পর্কিত আর কোন প্রশ্ন থাকলে কমেন্ট বক্সে জানান। ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url