সহজ কিস্তিতে লোন বাংলাদেশ - জরুরী লোন বাংলাদেশ সম্পর্কে জানুন

বর্তমান প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে আমাদের মধ্যে অনেক মানুষ আছেন যারা সহজ কিস্তিতে লোন বাংলাদেশ - জরুরী লোন বাংলাদেশ সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য জানতে চান।কিন্তু হাজারো খোঁজাখুঁজি করার পর আপনি আপনার কাঙ্ক্ষিত সঠিক তথ্য কথাও খুঁজে পান না।তাহলে এই সম্পূর্ণ পোস্টটি শুধুমাত্র আপনার জন্য। এই সম্পূর্ণ পোস্টটি জুড়ে আমি সহজ কিস্তিতে লোন বাংলাদেশ - জরুরী লোন বাংলাদেশ সম্পর্কে সঠিক তথ্য উপস্থাপন করার চেষ্টা করব।
সহজ কিস্তিতে লোন বাংলাদেশ
আশা করি আপনি যদি এই সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়েন তাহলে সহজ কিস্তিতে লোন বাংলাদেশ সহ সমস্ত লোন সম্পর্কে সঠিক তথ্য বিস্তারিতভাবে পেয়ে যাবেন।চলুন দেরি না করে বিস্তারিত তথ্য জেনে নেওয়া যাক।

ভূমিকা।সহজ কিস্তিতে লোন বাংলাদেশ

বর্তমান সময়ে এসে দাঁড়িয়ে মানুষ ইন্টারনেটের ওপর বেশি নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। যার কারণে মানুষ এখন যে কোন তথ্য জানতে হলে বিভিন্ন মানুষের কাছে দৌড়াদৌড়ি না করে ইন্টারনেটে তথ্য সংগ্রহ করার চেষ্টা করে। আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা আর্থিক সমস্যার কারণে সহজ কিস্তিতে বিভিন্ন ধরনের লোন সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য জানতে চান। আরো জানতে চান কিভাবে আমি খুব সহজে লোন পাব ইত্যাদি। তবে বিভিন্ন ওয়েবসাইট খুঁজেও আপনি আপনার সঠিক তথ্য খুঁজে পান না।

সাধারণত আপনাদের মাঝে সঠিক তথ্য উপস্থাপন করে আপনাদের সাহায্য করায় আমাদের মূল উদ্দেশ্য। তাই আপনার সুবিধার খাতিরে এই সম্পূর্ণ পোস্টটি জুড়ে আমি সহজ কিস্তিতে লোন বাংলাদেশ সম্পর্কে সঠিক তথ্য উপস্থাপন করব। তাই সঠিক তথ্য জানতে অবশ্যই সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

সহজ কিস্তিতে লোন বাংলাদেশ

আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা বিভিন্ন এনজিও অথবা বিভিন্ন ব্যাংকের সহজ কিস্তিতে লোন নেওয়ার জন্য আবেদন করে। আর সাধারণত কোন এনজিও অথবা কোন ব্যাংক বিনা জামানতে এবং সহজ কিস্তিতে কোন ধরনের লোন প্রদান করে থাকে না। হয়তো আপনার এমন সময় চলে আসলো যখন আপনার হঠাৎ করেই একটু বেশি পরিমাণে টাকার প্রয়োজন অথবা লক্ষাধিক টাকার প্রয়োজন।

ঠিক তখন কোন ধরনের এনজিও অথবা ব্যাংক আপনাদের কোন জামানো ছাড়া লোন প্রদান করতে চায়না। এছাড়াও বিভিন্ন ব্যাংক রয়েছে যারা সহজ শর্ত মোতাবেক বিভিন্ন ধরনের লোন প্রদান করে থাকে। আপনি যদি মাসিক অথবা বাৎসরিক সহজ কিস্তিতে বিভিন্ন লোন গ্রহণ করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনার আয়ের কোনো উৎস থাকতে হবে। অর্থাৎ সহজ করে বলতে গেলে যদি আপনার উপার্জন করার কোন উৎস না থাকে তাহলে আপনি কোন ধরনের লোন গ্রহণ করতে পারবেন না।
আপনার সর্বনিম্ন মাসিক আয় ৩০ থেকে ৫০ হাজার টাকার মধ্যে থাকলে আপনি খুব সহজে লোন গ্রহণ করতে পারবেন। আরো সহজ ভাষায় যদি বলি তাহলে যদি আপনার নেওয়া ঋণ পরিশোধ করার মতো কার্যক্ষমতা আপনার থেকে থাকে তাহলে আপনি সহজ কিস্তিতে লোন পাবেন।চলুন আরো কিছু তথ্য জেনে নেয়া যাক।

সহজ কিস্তিতে লোন পাওয়ার উপায়

আমরা সকলেই জানি যে আমাদের বাংলাদেশে বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি এনজিও এবং ব্যাংক রয়েছে। যারা আমাদের সহজ কিস্তিতে সর্বোচ্চ ২০ লাখ টাকা থেকে সর্বনিম্ন ৫,০০০ টাকা পর্যন্ত লোন প্রদান করে থাকে। আপনি চাইলে আপনার যেকোন প্রয়োজনে খুব সহজে লোন গ্রহণ করতে পারবেন। আমি নিজে কিছু ব্যাংকের নাম উল্লেখ করছি। যেই ব্যাংক অথবা এনজিও থেকে আপনি খুব সহজে লোন গ্রহণ করতে পারবেন। যেমন,
  • ব্রাক ব্যাংক
  • আশা ব্যাংক
  • ব্যুরো বাংলাদেশ
  • একটি বাড়ি একটি খামার
  • এবং গণমুখী ইত্যাদি
আপনি চাইলে খুব সহজে উপরে উল্লেখ করা ব্যাংক অথবা এনজিও থেকে খুব সহজে লোন গ্রহণ করতে পারেন। উক্ত ব্যাংক অথবা এনজিও থেকে আপনি সাধারণ লোন থেকে শুরু করে ব্যবসা লোন পর্যন্ত খুবই সহজে নিতে পারবেন।

জরুরী লোন বাংলাদেশ

আপনি চাইলে বাংলাদেশের যে কোন এনজিও,বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং বিভিন্ন ব্যাংক থেকে জরুরী লোন খুবই সহজে নিতে পারেন। মূলত ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে সহজ কিস্তিতে যে লোন গ্রহণ করা হয় ঠিক তাকে জরুরি লোন বলা হয়। আর সাধারণত আমাদের বাংলাদেশে জরুরি লোন নেওয়ার জন্য আপনাকে কোন প্রকারের জামানত প্রদান করতে হয় না।
মূলত আপনি যদি বাংলাদেশের নাগরিক হয়ে থাকেন তাহলে আপনি অবশ্যই জরুরি লোন পেয়ে যাবেন। সহজ ভাষায় জরুরি লোন পেতে গেলে অবশ্যই আপনাকে বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে। তবে জরুরী লোন নেওয়ার আগে আপনাকে অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে যে, বিভিন্ন ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান লোন দেয়ার ক্ষেত্রে বেশি পরিমাণে সুদ নিয়ে থাকে।

সে ক্ষেত্রে ব্যাংকগুলো সুদ হিসেবে প্রায় ১১% থেকে শুরু করে ১৬% পর্যন্ত সুদ নিয়ে থাকে। মূলত এটি আমাদের লোনের ক্ষেত্রে স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক আকারে বেশি। তাই আপনার কাছে আমার বিনীত অনুরোধ থাকবে আপনি জরুরী লোন নেওয়ার আগে অবশ্যই সুদের হার বিবেচনা করে লোন গ্রহণ করবেন।

লোন দাতা

বাংলাদেশের বিভিন্ন সরকারি এবং বেসরকারি ব্যাংক সহজ কিস্তিতে লোন প্রদান করে থাকে। বাংলাদেশের সরকারি এবং বেসরকারি ব্যাংক গুলোর মধ্যে অন্যতম ব্যাংক গুলি হচ্ছে,
  1. এবি ব্যাংক
  2. সিটি ব্যাংক
  3. এবং ব্রাক ব্যাংক ইত্যাদি
সাধারণত ওপরে তুলে ধরা তিনটি ব্যাংক সহজ কিস্তিতে লোন প্রদান করে। তবে, উক্ত ব্যাংকগুলো সুদের হার হিসেবে সর্বনিম্ন ১০.৭৫ পারসেন্ট থেকে ১১ পার্সেন্ট সুদের হার নিয়ে থাকে। এছাড়া ব্যাংক তার নিজস্ব শর্ত মোতাবেক এবং যিনি লোন গ্রহণ করবেন তার আর্থিক আয়ের উৎসর ওপর বিবেচনা করে লোন প্রদান করে থাকে। আর মূলত লোনের মেয়াদ ৬ মাস থেকে শুরু করে ৫ বছর পর্যন্ত হয়ে থাকে।

তাই আপনি যখন লোন নেওয়ার জন্য আবেদন করবেন তখন ব্যাংক কর্তৃপক্ষ আপনার বিষয়ে বিভিন্ন যাচাই-বাছাই করে শর্তসাপেক্ষে লোন প্রদান করে। সে ক্ষেত্রে আপনি যদি লোন নিতে যান তাহলে আপনাকে সরকারি অথবা বেসরকারি চাকরিজীবী হতে হবে। আর আপনার মাসিক আয় সর্বনিম্ন প্রায় ৩০ হাজার থেকে শুরু করে ৫০ হাজার পর্যন্ত থাকতে হবে তাহলে আপনি অনায়াসে লোন পেয়ে যাবেন।

যেসব বিষয়ে ব্যক্তিগত লোন পাওয়া যায়

বর্তমান পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে বিভিন্ন বিষয়ে জরুরি লোন অথবা সহজ কিস্তিতে পাওয়া যায়। আমি নিচে যে সব বিষয়ে আপনি লোন পাবেন সেগুলো উল্লেখ করলাম..
  1. আপনি যদি নতুন করে ব্যবসা শুরু করতে চান তাহলে লোন পাবেন।
  2. দ্বিতীয়ত,আপনি যদি কোন কিছু কিনতে চান তাহলে লোন পাবেন। যেমন, গরু, ছাগল এবং বিভিন্ন দ্রব্য সামগ্রী ইত্যাদি।
  3. তৃতীয়ত,আপনার খুবই জরুরী চিকিৎসার প্রয়োজন সে ক্ষেত্রে আপনি লোন পাবেন।
  4. চতুর্থ, আপনি বিয়ে করবেন কিন্তু বিয়ের খরচ মেটাতে পারছেন না সে ক্ষেত্রে আপনি বিয়ের খরচ মেটাতে লন পাবেন।
  5. পঞ্চম এবং সর্বশেষ আপনি বিয়ে বাড়ি তৈরি করার জন্য লোন পাবেন।
আশা করি আপনি বুঝতে পেরেছেন কি কি বিষয়ে আপনি ব্যক্তিগত লোন গ্রহণ করতে পারবেন। আশা করি এখন আপনার আর কোন ধরনের সমস্যায় পড়তে হবে না।

সহজ কিস্তিতে পার্সোনাল লোনের জন্য যেসব যোগ্যতা প্রয়োজন

প্রথমত সহজ কিস্তিতে লোন পাওয়ার জন্য আপনার বয়স সর্বনিম্ন ২১ বছর হতে হবে এবং আপনার সর্বোচ্চ ৬০ বছর বয়স থাকা খুবই জরুরী। দ্বিতীয় ক্ষেত্রে লোন পাওয়ার জন্য অবশ্যই আপনার একটি আয়ের উৎস থাকতে হবে। অর্থাৎ আপনার যদি কোন বাৎসরিক অথবা মাসিক উৎস থাকে ঠিক তখনই আপনি লোন গ্রহণ করতে পারবেন। আপনি যদি যেকোন বেসরকারি অথবা সরকারি চাকুরিজীবী হন তাহলে আপনি খুব সহজে লোন পেয়ে যাবেন। চলুন এবার দেখে নেওয়া যাক লোন নেওয়ার জন্য কি কি কাগজ প্রয়োজন।
  1. প্রথমত আপনার ব্যক্তিগত এনআইডি কার্ড অথবা জাতীয় পরিচয় পত্র থাকতে হবে।
  2. দ্বিতীয়ত যদি আপনি কোন সরকারি অথবা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকুরীজীবী হয়ে থাকেন তাহলে, উক্ত প্রতিষ্ঠানের কার্ড জমা দিতে হবে।
  3. আপনি যদি আগে কোন লোন নিয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই সেই লোনের তথ্য প্রদান করতে হবে।
  4. এছাড়াও আপনার লোন নেওয়ার ক্ষেত্রে একজন জামিনদার থাকতে হবে।
  5. জামিনদার এবং আপনার দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি জমা দিতে হবে।
  6. আপনার এবং জামিনদারের স্পষ্ট ভাষায় স্বাক্ষর থাকতে হবে।
  7. আপনার নিজস্ব বিদ্যুৎ বিলের কপি জমা দিতে হবে।
  8. আপনি যদি চাকরি দিবে হন তাহলে আপনার যে ব্যাংকে টাকা ঢোকে, উক্ত ব্যাংকের তথ্য এবং অ্যাকাউন্ট নাম্বার দিতে হবে।
  9. ট্রেড লাইসেন্স জমা দিতে হবে ব্যবসায়ী হয়ে থাকলে।
  10. সর্বশেষ আপনার প্রদান কৃত সকল তথ্য সঠিক হতে হবে।

বিশেষ সতর্কতা

আশা করি উপরোক্ত বিষয়গুলো সঠিকভাবে সম্পূর্ণ করলে আপনি আপনার কাঙ্খিত লোনটি পেয়ে যাবেন। তবে আপনি যখন লোন গ্রহণ করবেন তার আগে অবশ্যই সুদের পরিমাণ অথবা সুদের হার সম্পর্কে বিচার বিবেচনা করে নিবেন। কারণ আপনি হুট করে লোন নিয়ে ফেললেন কিন্তু সুদের হার দেখলেন না। পরবর্তীতে এটি আপনার জন্য বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়াবে। সে ক্ষেত্রে আমি একটা কথাই বলবো যে, লোন গ্রহণ করার আগে অবশ্যই সবকিছু বিচার বিবেচনা করে গ্রহণ করবেন।

বিভিন্ন ব্যাংকের সুদের হার

  • আইএফআইসি ব্যাংক শতকরা ১৩ থেকে ১৬ পার্সেন্ট সুদ নিয়ে থাকে।
  • ব্যাংক এশিয়া শতকরা ১০ থেকে ১৩%।
  • সিটি ব্যাংক শতকরা ১৩%।
  • ইনস্টান ব্যাংক শতকরা ১০ থেকে ১১%।
  • ব্র্যাক ব্যাংক শতকরা ১১ থেকে ১৪ পারসেন্ট।
  • প্রাইম ব্যাংক শতকরা ১০ থেকে ১৩ পার্সেন্ট।
  • ওয়ান ব্যাংক শতকরা ১১ থেকে ১৫ পার্সেন্ট।
  • এক্সিম ব্যাংক শতকরা ১৩ থেকে ১৬%।
  • মিউচুয়াল ট্রাস্ট শতকরা ১১ থেকে ১৪%।
  • মার্কেন্টাইল শতকরা ১০ থেকে ১৩%।
  • ডাচ বাংলা শতকরা ১০ থেকে ১৩%।
আশা করি আপনারা বিভিন্ন ব্যাংকের সুদের হার সম্পর্কে সঠিক তথ্য পেয়ে গিয়েছেন। চলুন এবার আরো কিছু তথ্য সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক।

অনলাইনে লোন পাওয়ার উপায়

ধরুন হঠাৎ করে আপনার জরুরী অর্থের প্রয়োজন। কিন্তু ব্যাংকে গিয়ে সমস্ত কাজ সম্পন্ন করে লোন নেওয়ার মতো সময় আপনার হাতে নেই। ঠিক এই সময় আপনি চাইলে অনলাইনে লোন গ্রহণ করতে পারেন। চলুন সেই বিষয়ে বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক। তবে আপনাকে একটা কথা জানিয়ে রাখি যে, অন্যান্য লোনের চেয়ে অনলাইনে জরুরী ভিত্তিক ভাবে লোন নিতে গেলে অন্য জায়গায় তুলনায় আপনাকে বেশি পরিমাণে সুদ দিতে হবে।

কিন্তু আমাদের জরুরী সময় লোন প্রয়োজন হলে অথবা আমাদের প্রয়োজনের সময় লোন পেয়ে গেলে আমাদের সুদ বেশি দিলে ক্ষতি নেই। আর জরুরী ভিত্তিতে অনলাইনে লোন নেওয়ার জন্য আপনি বাড়িতে বসেই অনলাইনে লোনের জন্য আবেদন করতে পারেন। আর আবেদন করার পর খুবই শীঘ্রই আপনি লোনের জন্য অনুমোদন পত্র পেয়ে যাবেন। তবে অনলাইনে লোন পাওয়ার জন্য আপনাকে অবশ্যই বিভিন্ন ধরনের শর্ত মেনে চলতে হবে। চলুন সেই শর্তগুলো আপনাদের জানাই।

মাসিক আয়

অনলাইনে লোন পাওয়ার জন্য অবশ্যই আপনার একটি আয়ের উৎস থাকা প্রয়োজন। সেক্ষেত্রে আপনার লোন পাওয়া সহজ হয়ে দাঁড়াবে যদি আপনি সরকারি অথবা বেসরকারি কোন কর্মসংস্থানে কর্মরত থাকেন। এছাড়াও আপনি যদি কোন ব্যবসায়ী হয়ে থাকেন তাহলে ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে অবশ্যই আপনার মাসিক আয়ের হিসাব প্রদান করতে হবে। সহজ ভাষায় বলতে গেলে আপনি মাসে কত টাকা উপার্জন করেন সেটি দেখাতে হবে।

ক্রেডিট কার্ড হোল্ডার

দিয়ে দিও তো আপনি যদি ব্যক্তিগত ক্রেডিট কার্ড হোল্ডার হয়ে থাকেন, এর সাথে সাথে আপনার ব্যাংকের ক্রেডিট স্কোর খুবই ভালো হয়ে থাকে। তাহলে এটি আপনার লোন পাওয়ার জন্য খুবই উপকারে আসবে।

লোন পরিশোধ করার ইতিহাস

তৃতীয়ত, আপনি যদি কোন ক্রেডিট কার্ড হোল্ডার না হয়ে থাকেন। কিন্তু এর আগে নির্দিষ্ট কোন প্রতিষ্ঠান থেকে লোন গ্রহণ করে সঠিক সময়ে সেটি পরি এছাড়াওশোধ করেছেন। সেই তথ্য যদি আপনি প্রদান করেন তাহলে খুব সহজে লোন পেয়ে যাবে। আপনি যদি কোন কার্যখাতে কর্মরত থাকেন সেখান থেকে যদি কর্তৃপক্ষ আপনার বিষয়ে ভালো তথ্য প্রদান করে তাহলেও আপনি খুব সহজে লোন পেয়ে যাবেন।

অনলাইনে লোনের জন্য যেখানে আবেদন করবেন

অন্যান্য দেশের থেকে বাংলাদেশে অনলাইন লোনের জন্য আবেদন করা একটু কঠিন বলে আমি মনে করি। তবে আপনি খুব সহজে নির্দিষ্ট কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে লোনের জন্য অনলাইনে আবেদন করতে পারেন। চলুন সেই ব্যাংক অথবা প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক। বাংলাদেশে তিনটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে যারা খুব সহজে অনলাইনে লোন প্রদান করে থাকে। যেমন,
  1. কর্মসংস্থান ব্যাংক
  2. সিটি ব্যাংক
  3. এবং বিকাশ অ্যাপ
মূলত এই তিনটি প্রতিষ্ঠান থেকে আপনি খুব সহজে অনলাইনে লোন নিতে পারবেন। চলুন নিজের তিনটি বিষয়ের সম্পর্কে সঠিক তথ্য জেনে নেওয়া যাক।

কর্মসংস্থান ব্যাংক থেকে লোন গ্রহণ

মূলত আমি মনে করি যে, আপনি যদি অনলাইনে লোন নিতে চান তাহলে কর্মসংস্থান ব্যাংক আপনার জন্য অন্যতম। আর উক্ত কর্মসংস্থান ব্যাংক লোন নেওয়ার জন্য আপনাকে শুরুতেই তাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করতে হবে। ওয়েবসাইটের মধ্যে প্রবেশ করলে আপনাকে সর্বপ্রথম লোন নেওয়ার জন্য একটি ফরম প্রদান করবে। আপনাকে সুন্দরমতো সেই ফর্মটি পূরণ করতে হবে সঠিক তথ্য দিয়ে। ফর্মে যেগুলো উল্লেখ থাকে,
  1. আপনার ব্যক্তিগত নাম
  2. আপনার পিতা এবং মাতার নাম
  3. আপনার বর্তমানে এবং স্থায়ী ঠিকানা
  4. জাতীয়তা
  5. আপনার বৈবাহিক অবস্থা
  6. জাতীয়তা
  7. মোবাইল নম্বর এবং আপনার জন্ম তারিখ সহ বিভিন্ন তথ্য উল্লেখ থাকে
সম্পূর্ণ ফর্মটি ফিলাপ করার পর আপনাকে ..সাবমিট.. অপশনে ক্লিক করতে হবে। এর পরবর্তীতে আপনার লোনের আবেদনটি ব্যাংক কর্তৃপক্ষের কাছে সাবমিট হয়ে যাবে এবং ব্যাংক কর্তৃপক্ষ দেখবেন যে আপনার তথ্যগুলো সঠিক আছে কিনা। এর পরবর্তীতে আপনার তথ্য যাচাই-বাছাই করে সঠিক হলে আপনাকে খুব দ্রুত লোন প্রদান করবে। আশা করি আপনি সম্পূর্ণ বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন।

সিটি ব্যাংক থেকে লোন গ্রহণ

আমরা সকলেই জানি যে বাংলাদেশের অন্যতম ব্যাংক হচ্ছে সিটি ব্যাংক। আপনি চাইলে খুব সহজে কিছু শর্ত মেনে সিটি ব্যাংক থেকে অনলাইনে লোন গ্রহণ করতে পারেন। তবে সিটি ব্যাংক থেকে লোন নেওয়ার আগে অবশ্যই আপনার বিকাশ একাউন্ট থাকতে হবে। আপনারা অনেকেই জানেন না যে, সিটি ব্যাংক এবং বিকাশ মিলে নতুন লোন ব্যবস্থা প্রথা চালু করেছে। আপনি চাইলে বিকাশ অ্যাপ এ ঢুকে সিটি ব্যাংক সিলেক্ট করে খুব সহজে আপনার যাবতীয় তথ্য প্রদান করে খুব সহজে অনলাইনে লোন গ্রহণ করতে পারেন।

বিকাশ অ্যাপ থেকে লোন গ্রহণ

যদি আপনার একটি বিকাশ একাউন্ট থেকে থাকে তাহলে আপনি খুব সহজেই ঘরে বসে অনলাইনে লোন পেয়ে যাবেন। আর আপনি যখন বিকাশ থেকে লোন গ্রহণ করবেন তখন আপনি সেই একাউন্টটি বেছে নিবেন যেই অ্যাকাউন্টটিতে আপনি নিয়মিত টাকা লেনদেন করেন। তাহলে খুব সহজে আপনি লোন পেয়ে যাবেন। তবে আপনি মনে রাখবেন বিকাশ কিছু শর্ত সাপেক্ষে আপনাদের লোন প্রদান করে থাকে।

আর উক্ত লোন পাওয়ার জন্য আপনি প্রথমে আপনার স্মার্টফোনে বিকাশ অ্যাপটি ইন্সটল করে নিন। এরপরে পিন নাম্বার দিয়ে বিকাশ একাউন্টে লগইন দিন। তারপর আপনি আপনার ড্যাশবোর্ড থেকে ডান দিকে লোন অপশনে চাপ দিন। মূলত বিকাশ কর্তৃপক্ষ আপনার মাসিক লেনদেনের ওপর নির্ভর করে এবং বিভিন্ন শর্ত সাপেক্ষে আপনাদের লোন প্রদান করে। আপনি যদি..Take Loan.. অপশনটি পেয়ে যান তাহলে আপনি বুঝে যাবেন আপনি লোন নিতে পারবেন।

তারপরে আপনি ..Take Loan.. অপশনটিতে চাপ দিন। তাহলে আপনি কত টাকা লোন গ্রহণ করতে পারবেন এবং লোনের মেয়াদ ঠিক কতদিন সবকিছু দেখতে পেয়ে যাবেন। এরপরে আপনি আপনার নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা নির্বাচন করে তাদের নির্দিষ্ট শর্তাবলী গুলো পড়ে..I Agree.. অপশনে ক্লিক করে আপনার নির্দিষ্ট পিন নাম্বার দিয়ে কনফার্ম করে দিন। তাহলে আশা করি আপনি কিছুক্ষণের মধ্যেআপনার একাউন্টে কাঙ্খিত লোনটি পেয়ে যাবেন।

সতর্কতা

ওপরে আমি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে লোন নেওয়ার উপায় সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। তবে আপনি লোন নেওয়ার আগে অবশ্যই খেয়াল রাখবেন যে, আপনি যে প্রতিষ্ঠান থেকে অথবা এনজিও থেকে লোন গ্রহণ করছে সেটি একটি বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠান কিনা। কারণ বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠান না হলে পরবর্তীতে আপনি বিভিন্ন ঝামেলার সম্মুখীন হতে পারেন। তাই অবশ্যই সবকিছু বিচার বিবেচনা করে লোন গ্রহন করবেন। এমন ভাবে কিছু করবেন না যাতে পরবর্তীতে আপনাকে পস্তাতে হয় এবং আপনার স্বাভাবিক জীবন যাপনে সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়।

লেখকের শেষ কথা।সহজ কিস্তিতে লোন বাংলাদেশ

এই সম্পূর্ণ পোস্টটি জুড়ে আমি সহজ কিস্তিতে লোন বাংলাদেশ - জরুরী লোন বাংলাদেশ সম্পর্কে সঠিক তথ্য আপনাদের মাঝে বিস্তারিতভাবে উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছি। আশা করি এই সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ার পর আপনি আপনার কাঙ্ক্ষিত তথ্য পেয়ে গেছেন। তবে একটি বিষয় খেয়াল রাখবেন যে, আমি গুগল অথবা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সঠিক তথ্য সংগ্রহ করে আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করার চেষ্টা করি।

তবে মাঝে মাঝে আমার দেওয়া তথ্যের মধ্যে কোন তথ্য ভুল হিসেবে আপনাদের মাঝে উপস্থাপন হতে পারে। তবে আমি চেষ্টা করি আপনাদের মাঝে সঠিক তথ্য তুলে ধরার। আর এরকম নিত্য প্রয়োজনীয় সঠিক তথ্য যদি আপনারা প্রতি নিয়ত পেতে যান তাহলে অবশ্যই ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন এবং আমার এই পোস্টটি বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করুন যাতে করে আপনার মত আপনার বন্ধুরাও তাদের কাঙ্খিত তথ্যটি জেনে নিতে পারে ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url