সোনালী ব্যাংক ব্যবসায়িক লোন সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন

আপনি কি সোনালী ব্যাংক ব্যবসায়িক লোন - সোনালী ব্যাংক ব্যবসায়িক লোন নেওয়ার নিয়ম জানতে আগ্রহী? তাহলে আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন। কারণ আজকের আর্টিকেলের বিষয়বস্তু ব্যবসায়িক লোন নেওয়ার নিয়ম। চলুন আলোচনা শুরু করা যাক।
সোনালী ব্যাংক ব্যবসায়িক লোন
বর্তমানে বেশির ভাগ মানুষ ব্যবসা করতে আগ্রহী। তবে আগ্রহী হলে হবে না ব্যবসা করার জন্য টাকার প্রয়োজন। তাই আপনি ব্যবসা করার জন্য ব্যাংক থেকে লোন নিতে পারেন। লোন নেওয়ার ক্ষেত্রে সোনালী ব্যাংক বেস্ট।

সোনালী ব্যাংক ব্যবসায়িক লোন

বাংলাদেশ ব্যাংকের পর সোনালী ব্যাংক সবচেয়ে বড় এবং বিশ্বস্ত ব্যাংক। অনেক ব্যবসায়ীরা আছেন যারা সোনালী ব্যাংক থেকে লোন নেন অথবা নিতে চান। সোনালী ব্যাংক ব্যবসায়িক লোন নেওয়ার পদ্ধতি ও সহজ। সাধারণত ট্রেড লাইসেন্স ধারী ব্যবসায়ীরা তাদের ব্যবসা পরিষদ বড় করার জন্য ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে থাকেন। 

ব্যবসায়িক লোন নিতে হলে আপনাকে সোনালী ব্যাংকে থেকে নির্ধারিত কিছু শর্ত পূরণ করতে হবে। সোনালী ব্যাংক ট্রেড লাইসেন্স ধারী ব্যবসায়ী ছাড়া অন্য ব্যবসায়ীদের লোন প্রদান করে না। আপনি ট্রেড লাইসেন্স ধারী ব্যবসায়ী হলে সোনালি ব্যাংক থেকে বিভিন্ন পরিমাণের, বিভিন্ন মেয়াদের ব্যবসায়িক নিতে পারবেন।

ব্যবসায়িক লোন নিতে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস

সাধারণত ব্যবসায়ীরা ব্যবসায়িক লোন নেন। ব্যবসায়িক লোন অন্যান্য লোনের থেকে আলাদা। চাইলেই সব ব্যবসায়ী ব্যবসায়িক লোন নিতে পারেন না। কারণ ব্যবসায়িক লোন নিতে হলে নির্দিষ্ট কিছু শর্ত পূরণ করতে হবে।

সকল ব্যাংকে ব্যবসায়িক লোন নিতে প্রায় একই রকম  ডকুমেন্টস এর প্রয়োজন হয়। ব্যবসায়িক লোন নেওয়ার আগে ব্যবসায়িক লোন নিতে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস গুলো সম্পর্কে জেনে নেওয়া প্রয়োজন। নিচে  ব্যবসায়িক লোন নিতে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস এর তালিকা তুলে ধরা হলো:
  • ব্যবসার নিবন্ধন পত্র অর্থাৎ ট্রেড লাইসেন্স।
  • টিআইএন সার্টিফিকেট 
  • ব্যবসার গত দুই দিন বছরের লাভ, লস, খরচ সব কিছুর প্রতিবেদন। 
  • ব্যবসার মালিকানা পত্র 
  • ব্যবসার মালিকের জাতীয় পরিচয় পত্র 
  • ব্যবসার মালিকের পাসপোর্ট সাইজের দুই কপি ছবি। 
  • পূর্বে কোন ব্যাংক থেকে লোন নিলে সেটির দলিল 
  • ব্যবসায়ীক লোন নেওয়ার জন্য ব্যাংক থেকে আবেদনপত্র সংগ্রহ করে সেটি পূরণ করে জমা দিতে হবে

সোনালী ব্যাংক ব্যবসায়িক লোন কত টাকা দেয়?

সোনালি ব্যাংক ব্যাবসায়িক লোন প্রদান করে। সোনালী ব্যাংক ব্যবসায়ী লোন কত টাকা দেয় এটি বেশ কিছু ফ্যাক্টর এর উপর নির্ভরশীল। আপনার ব্যবসায়ের ধরন, লোন নেওয়ার কারণ, লোনের ধরন এসবের উপর টাকার পরিমান নির্ভর করে। 

গুগলের তথ্য মতে ছোট উদ্যোক্তারা সোনালী ব্যাংক থেকে ১ লক্ষ থেকে ২৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত লোন নিতে পারবে। আর ব্যবসা বড় ব্যবসার জিনিসপত্র কেনার জন্য সর্বোচ্চ ৫০ লক্ষ টাকা লোন পাবেন। 

সোনালী ব্যাংক ব্যবসায়িক লোন নেওয়ার নিয়ম

সোনালী ব্যাংক ব্যবসায়ীদের যে লোন প্রদান করে সেটি হচ্ছে ব্যবসায়িক লোন। সোনালী ব্যাংক ব্যবসায়িক লোন নেওয়ার নিয়ম রয়েছে। এখন ব্যবসায়ী যদি সোনালী ব্যাংক থেকে লোন নিতে চান, তাহলে উক্ত নিয়ম গুলো অবশ্যই তাকে মেনে নিতে হবে। 

ব্যবসায়িক লোন নেওয়ার নিয়ম খুবই সহজ। নিয়ম মেনে কোনো ঝামেলা ছাড়াই আপনি সোনালী ব্যাংক থেকে ব্যবসায়িক লোন নিতে পারবেন। তাহলে আর দেরি না করে চলুন ব্যবসায়িক লোন নেওয়ার নিয়ম জেনে নেওয়া যাক:
প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস সংগ্রহ: 
আর্টিকেলে সোনালী ব্যাংক থেকে ব্যবসায়িক লোন নিতে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস এর তালিকা তুলে ধরা হয়েছে। এই সেই তালিকা অনুযায়ী সকল প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস সংগ্রহ করতে হবে। 
লোনের ধরন নির্বাচন: 
আপনি সোনালী ব্যাংক থেকে কোন ধরনের ব্যবসায়িক লোন নিবেন সেটা নির্বাচন করতে হবে। জনপ্রিয় তিন ধরনের ব্যবসায়ীর লোন গুলো হলো:
  • ট্রেড ফাইন্যান্স লোন 
  • ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল লোন
  • টার্ম লোন 
ব্যাংক হতে লোনের আবেদনপত্র সংগ্রহ: 
সোনালী ব্যাংকে ব্যবসায়ীক লোন নিতে হলে আগে একটি আবেদনপত্র ব্যাংক থেকে সংগ্রহ করতে হবে। এরপর আবেদপত্রে প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে সেটি পূরণ করে জমা দিতে হবে। 
ব্যাংক মূল্যায়ন:
আপনার সকল কাগজপত্র ব্যাংক কর্তৃপক্ষ মূল্যায়ন করবে। এরপর ব্যাংক আপনাকে ব্যবসায়িক লোন  দিবে কিনা সেটি জানিয়ে দেওয়া হবে।

সোনালী ব্যাংক ব্যবসায়িক লোনের যোগ্যতা

আপনি যে কোন কাজ করতে চান না কেন আপনার যোগ্যতার প্রয়োজন হবে। যেকোনো ব্যাংক থেকে লোন নেওয়ার জন্য যে শর্ত পূরণ করার প্রয়োজন পড়ে সেগুলোই যোগ্যতা হিসেবে ধরা হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের পর বাংলাদেশে সোনালী ব্যাংক সবচেয়ে বড় ব্যাংক। তাই এ ব্যাংক থেকে লোন নিতে হলে ব্যাংক থেকে নির্ধারিত শর্তগুলো অবশ্যই পূরণ করতে হবে।

সোনালী ব্যাংক ব্যবসায়ী লোনের যোগ্যতা সোনালী ব্যাংক নির্ধারণ করে দিয়েছে। আপনার সে যোগ্যতা থাকলে আপনি সোনালী ব্যাংক থেকে ব্যবসায়িক লোন পাবেন নতুবা পাবেন না। নিচে সোনালী ব্যাংক ব্যবসায়িক লোনের যোগ্যতা তুলে ধরা হলো: 
  • আপনাকে অবশ্যই ট্রেড লাইসেন্স ধারী ব্যবসায়ী হতে হবে। 
  • আপনার ব্যবসার টি আই এন সার্টিফিকেট থাকতে হবে। 
  • আপনার ব্যবসার বয়স সর্বনিম্ন দুই থেকে তিন বছর হতে হবে। 
  • সোনালী ব্যাংক থেকে লোন নেয়ার জন্য একজন গ্যারেন্টার লাগবে যিনি সোনালী ব্যাংকের গ্রাহক।
  • ট্যাক্স ক্লিয়ারেন্স। 

সোনালী ব্যাংক ব্যবসায়িক লোন আবেদন প্রক্রিয়া

সোনালী ব্যাংক থেকে ব্যবসায়িক লোন নেওয়ার আগে আপনার সোনালী ব্যাংক ব্যবসায়িক লোন আবেদন প্রক্রিয়া জেনে নেওয়া উচিত। এখন দেশের সর্বত্রই সোনালী ব্যাংকের শাখা রয়েছে। নিচে ব্যবসায়িক লোন আবেদন প্রক্রিয়া সম্পর্কে আলোচনা করা হলো: 

সোনালি ব্যাংক সোনালী ব্যাংক থেকে  অন্য নেওয়ার জন্য নিকটস্থ সোনালী ব্যাংকের শাখায় যেতে হবে। সোনালী ব্যাংক থেকে ব্যবসায়িক লোন  নেওয়ার জন্য কিছু কাগজপত্রের প্রয়োজন হয়। সেই কাগজপত্রগুলো সংগ্রহ করতে হবে। এরপর প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে ব্যাংকের শাখায় যেতে হবে। তারপর আপনি কোন ধরনের লোন নিবেন সেটি ব্যাংক কর্মকর্তাকে বলে একটি আবেদন পত্র নিতে হবে। আবেদন পত্রে চাওয়া সকল তথ্য সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে। এরপর আবেদনপত্র সাবমিট করতে হবে। 

সোনালী ব্যাংক লোন সমূহ

বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম ব্যাংক হচ্ছে সোনালী ব্যাংক। বাংলাদেশের মানুষের উন্নয়নের লক্ষ্যে সোনালী ব্যাংক বিভিন্ন ধরনের লোন দেয়। আপনি আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী সোনালী ব্যাংক থেকে লোন নিতে পারবেন।

সোনালি ব্যাংক লোন সমূহ নিচে উল্লেখ করা হলো: 
  • সোনালি ব্যাংক পার্সোনাল লোন 
  • সোনালি ব্যাংক ব্যাবসায়িক লোন 
  • সোনালি ব্যাংক কৃষি লোন 
  • সোনালি ব্যাংক প্রবাসী লোন 
  • সোনালি ব্যাংক শিক্ষা লোন 
  • সোনালি ব্যাংক গৃহ নির্মাণ লোন 
  • সোনালি ব্যাংক মাঝারি ও ক্ষুদ্র শিল্প লোন 

সোনালী ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায়

বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম ব্যাংক হচ্ছে সোনালী ব্যাংক। বাংলাদেশের মানুষের উন্নয়নের লক্ষ্যে সোনালী ব্যাংক বিভিন্ন ধরনের লোন দেয়। আপনি আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী সোনালী ব্যাংক থেকে লোন নিতে পারবেন।

সোনালী ব্যাংক থেকে লোন নেওয়ার আগে আপনার সোনালী ব্যাংক  লোন নেওয়ার উপায় জেনে নেওয়া উচিত। এখন দেশের সর্বত্রই সোনালী ব্যাংকের শাখা রয়েছে। নিচে সোনালী ব্যাংক লোন নেওয়ার উপায় সম্পর্কে আলোচনা করা হলো: 

সোনালি ব্যাংক সোনালী ব্যাংক থেকে অন্য নেওয়ার জন্য নিকটস্থ সোনালী ব্যাংকের শাখায় যেতে হবে। সোনালী ব্যাংক থেকে আপনি যে লোন নিবেন তার জন্য কিছু কাগজপত্রের প্রয়োজন হয়। সেই কাগজপত্রগুলো সংগ্রহ করতে হবে। এরপর প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে ব্যাংকের শাখায় যেতে হবে। 

তারপর আপনি কোন ধরনের লোন নিবেন সেটি ব্যাংক কর্মকর্তাকে বলে একটি আবেদন পত্র নিতে হবে। আবেদন পত্রে চাওয়া সকল তথ্য সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে। এরপর আবেদনপত্র সাবমিট করতে হবে। এরপর ব্যাংক আপনার আবেদন পত্র এবং সংযুক্ত কাগজপত্র যাচাই বাছাই করে আপনাকে জানিয়ে দিবে যে আপনি লোন পাবেন কিনা।

লোন নেওয়ার আগে লোন সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। আবার শুধু লোন নিলেই হবে না ভবিষ্যতের কথাও চিন্তা করতে হবে। তাই এই আর্টিকেলে সোনালী ব্যাংক লোন চার্ট - সোনালী ব্যাংক পরিবার সঞ্চয় পত্র বিষয়ক যাবতীয় তথ্য তুলে ধরা হবে। সোনালী ব্যাংক লোন চার্ট - সোনালী ব্যাংক পরিবার সঞ্চয় পত্র সম্পর্কে জানতে হলে আমার সাথেই থাকুন।

সোনালী ব্যাংক সঞ্চয়পত্র কি?

সাধারণ জনগণ নির্দিষ্ট মেয়াদে তাদের অর্থ বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ করে এই প্রক্রিয়াকে সঞ্চয়পত্র বলে। সোনালী ব্যাংক সঞ্চয়পত্র কি জানার জন্য আমার সাথেই থাকুন। সোনালী ব্যাংক সঞ্চয়পত্র বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক পরিচালিত হয়। 

সোনালী ব্যাংক সঞ্চয়পত্র ক্রয় করতে হয়। আপনি চাইলে সোনালী ব্যাংক থেকে সঞ্চয় পত্র ক্রয় করতে পারবেন। সঞ্চয়পত্রের মোট চারটি স্কিম বর্তমানে চালু রয়েছে। 

একজন ব্যক্তি সর্বোচ্চ 50 লাখ টাকা তার সব ধরনের সঞ্চয়ে বিনিয়োগ করতে পারবে। একজন ব্যক্তির পাঁচ লাখ টাকা সঞ্চয় পত্র করেন তাহলে তাকে পূর্ববর্তী বছরের আয়কর রিটার্নের কাগজ দেখাতে হবে। তবে পাঁচ লাখের নিচে সঞ্চয়পত্র করলে আইকন রিটার্নের কাগজ লাগবে না।

সোনালী ব্যাংক লোন চার্ট

সোনালী ব্যাংক লোন চার্ট সম্পর্কে জানার জন্য অনেকেই গুগলে সার্চ করেন। সোনালী ব্যাংক তার গ্রাহকদের বিভিন্ন মেয়াদী লোন প্রদান করে। সোনালী ব্যাংকের গ্রাহক হওয়ার আগে আপনার সোনালী ব্যাংক লোন চার্ট সম্পর্কে জেনে নেওয়া প্রয়োজন।

আপনাদের সুবিধার্থে নিচে সোনালী ব্যাংক লোন চার্ট তুলে ধরা হলো: 
  • ৬০ মাস মেয়াদী সাধারণ গ্রাহক লোন নিলে আপনি ৭.৫ লক্ষ টাকা ঋণ নিতে পারবেন এক্ষেত্রে মুনাফার হার হবে ৯.৭৫%।
  • ৬০ মাস মেয়াদী গ্রামীণ গ্রাহক লোন নিলে আপনি ৫ লক্ষ টাকা ঋণ নিতে পারবেন এক্ষেত্রে মুনাফার হার হবে ১০.৭৫%। 
  • ৮৪ মাস মেয়াদী SME লোন নিলে আপনি ১ কোটি টাকা ঋণ নিতে পারবেন এক্ষেত্রে মুনাফার হার হবে ১০.৭৫%।
  • ৬০ মাস মেয়াদী ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীক লোন নিলে আপনি ৫ লক্ষ টাকা ঋণ নিতে পারবেন এক্ষেত্রে মুনাফার হার হবে ৮%।
  • ৬০ মাস মেয়াদী জীবিকা নির্বাহী লোন নিলে আপনি ০.৫ লক্ষ টাকা ঋণ নিতে পারবেন এক্ষেত্রে মুনাফার হার হবে ৮%।
  • ৭২ মাস মেয়াদী শিক্ষা লোন নিলে আপনি ৭.৫ লক্ষ টাকা ঋণ নিতে পারবেন এক্ষেত্রে মুনাফার হার হবে ৯.৭৫%।
  • ১২০ মাস মেয়াদী গৃহ নির্মাণ লোন নিলে আপনি ৫০ লক্ষ টাকা ঋণ নিতে পারবেন এক্ষেত্রে মুনাফার হার হবে ৮%।
  • ৬০ মাস মেয়াদী যানবাহন লোন নিলে আপনি ৭.৫ লক্ষ টাকা ঋণ নিতে পারবেন এক্ষেত্রে মুনাফার হার হবে ১০.৭৫%।
  • ৭২ মাস মেয়াদী কৃষি লোন নিলে আপনি ৫ লক্ষ টাকা ঋণ নিতে পারবেন এক্ষেত্রে মুনাফার হার হবে ১০%।
  • ৭২ মাস মেয়াদী নবায়নযোগ্য শক্তি লোন নিলে আপনি ৫ লক্ষ টাকা ঋণ নিতে পারবেন এক্ষেত্রে মুনাফার হার হবে ৯%। 

সোনালী ব্যাংক কি সরকারি?

কোন ব্যাংকের গ্রাহক হওয়ার আগে আমরা জানতে চাই যে ব্যাংকটি সরকারি নাকি বেসরকারি। সোনালী ব্যাংক কি সরকারি? এই প্রশ্ন অনেকেই করে থাকেন। তাই এখন আমরা সোনালী ব্যাংক সরকারি কিনা জানবো। 

হ্যাঁ, সোনালী ব্যাংক সরকারি। ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ সরকার ন্যাশনাল ব্যাংক অফ পাকিস্তান, ব্যাংক অফ বাহাওয়ালপুর এবং প্রিমিয়ার ব্যাংক কে জাতীয়করণ করেন তখন সৃষ্টি হয় সোনালী ব্যাংকের। বাংলাদেশের বৃহত্তম রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংক হচ্ছে সোনালী ব্যাংক। বর্তমানে বাংলাদেশে সোনালী ব্যাংকের ১২৩২ টি শাখা রয়েছে। 

সোনালী ব্যাংক পরিবার সঞ্চয় পত্র

সাধারণ জনগণ নির্দিষ্ট মেয়াদে তাদের অর্থ বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ করে এই প্রক্রিয়াকে সঞ্চয়পত্র বলে। সোনালী ব্যাংক সঞ্চয়পত্র কি জানার জন্য আমার সাথেই থাকুন। সোনালী ব্যাংক সঞ্চয়পত্র বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক পরিচালিত হয়। 

আপনার পরিবারের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে আপনি সোনালী ব্যাংক পরিবার সঞ্চয় পত্র ক্রয় করতে পারেন। আপনার বয়স ১৮ বছর হলে আপনি সোনালী ব্যাংক পরিবার সঞ্চয় পত্র করতে পারবেন। সোনালী ব্যাংক পরিবার সঞ্চয় পত্র মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত পরিবারের জন্য অনেক উপকারী। এটি মধ্যবিত্ত নিম্নবিত্ত পরিবারকে দীর্ঘমেয়াদি, নিরাপদ সঞ্চয়ের সুযোগ প্রদান করে। 

সোনালী ব্যাংক পারিবারিক সঞ্চয়পত্র মুনাফা হার

আপনার পরিবারের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে আপনি সোনালী ব্যাংক পরিবার সঞ্চয় পত্র ক্রয় করতে পারেন। আপনার বয়স ১৮ বছর হলে আপনি সোনালী ব্যাংক পরিবার সঞ্চয় পত্র করতে পারবেন। সোনালী ব্যাংক পরিবার সঞ্চয় পত্র মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত পরিবারের জন্য অনেক উপকারী। এটি মধ্যবিত্ত নিম্নবিত্ত পরিবারকে দীর্ঘমেয়াদি, নিরাপদ সঞ্চয়ের সুযোগ প্রদান করে। 

তবে পরিবার সঞ্চয়পত্র ক্রয় করার আগে আপনি অবশ্যই সোনালী ব্যাংক পারিবারিক সঞ্চয়পত্র মুনাফা হার সম্পর্কে জানতে চাইবেন। সোনালী ব্যাংক পরিবার সঞ্চয়পত্র খুললেন আপনি সর্বনিম্ন ৯.৫০% থেকে সর্বোচ্চ ১১.৫২% হারে মুনাফা পাবেন। 

সোনালী ব্যাংক মিলিওনিয়ার স্কিম

মিলিওনিয়ার কথাটা শুনেই বুঝতে পারছেন অনেক টাকার ব্যাপার-স্যাপার। সোনালী ব্যাংক মিলিওনিয়ার স্কিম চালু করেছে। মিলিওনিয়ার স্কিমে প্রতিমাসে কিছু টাকা ব্যাংকে ডিপোজিট করতে হবে এবং ব্যাংক নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত আপনার টাকা জমা রেখে আপনাকে কিছু মুনাফা প্রদান করে। 

আপনি প্রতি মাসে ১৯৬০ টাকা সোনালি ব্যাংকে জমা করলে ২০ বছর পর আপনার জমানো টাকার পরিমান হবে ৪,৭০,৪০০ টাকা। অথচ ব্যাংক আপনাকে প্রদান করবে ১০ লক্ষ টাকা। আর আপনি যদি ১০ বছরে মিলিওনিয়ার হতে চান তাহলে আপনাকে ব্যাংকে প্রতি মাসে ৫,৯৭০ টাকা জমা করতে হবে। এইটাই হচ্ছে সোনালী ব্যাংক মিলিওনিয়ার স্কিম। 

সোনালী ব্যাংক সঞ্চয় পত্রের নতুন নিয়ম ২০২৪

সাধারণ জনগণ নির্দিষ্ট মেয়াদে তাদের অর্থ বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ করে এই প্রক্রিয়াকে সঞ্চয়পত্র বলে। সোনালী ব্যাংক সঞ্চয়পত্র কি জানার জন্য আমার সাথেই থাকুন। সোনালী ব্যাংক সঞ্চয়পত্র বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক পরিচালিত হয়। 

সঞ্চয়পত্রের কিছু নিয়ম পরিবর্তন হওয়ার কারণে সোনালী ব্যাংক সঞ্চয় পত্রের নতুন নিয়ম ২০২৪ সম্পর্কে জেনে নেয়া প্রয়োজন। বর্তমানে সকল দেশেই মুদ্রাস্ফীতি চলছে, সকল দ্রব্যমূল্যের নাম বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই ব্যাংকে সঞ্চয়পত্রের ওপর মুনাফা কমানো হয়েছে। সঞ্চয়পত্রের নতুন নিয়ম এটি। ২৪ সালে এসে সঞ্চয়পত্র এ টাকা বিনিয়োগ করলে আপনি খুব একটা মুনাফা পাবেন না। 

আগে ২ লক্ষ টাকা সঞ্চয় পত্রে টিন সার্টিফিকেট লাগতো। এখন সর্বনিম্ন ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত টিন সার্টিফিকেট লাগেনা। আগে পোস্ট অফিস থেকে এক লক্ষ টাকা দিয়ে সজাগ পত্র ক্রয় করতে হতো। এখন সেটির প্রয়োজন পড়ে না। দেশের যে কোন প্রান্তের ব্যাংকের শাখা থেকে আপনি সঞ্চয়পত্র ক্রয় করতে পারবেন।

সোনালী ব্যাংক সঞ্চয় পত্রের নতুন নিয়ম ২০২৪ হলো মুনাফার হার কমানো হয়েছ। আই বর্তমানে সঞ্চয়পত্রে ৩০ লক্ষ টাকার বেশি বিনিয়োগ করা বোকামি হবে। আশা করি আপনি বিষয়টা বুঝতে পেরেছেন। 

সোনালী ব্যাংক লোন সমূহ

দেশের মধ্যবিত্ত, নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের কথা চিন্তা করে সোনালী ব্যাংক বিভিন্ন লোন চালু করেছে। আপনি সোনালী ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে আপনার প্রয়োজন পূরণ করতে পারবেন। দেশের সকল প্রান্তে সোনালী ব্যাংকের শাখা রয়েছে আপনি সোনালী ব্যাংকের যেকোন শাখা থেকে লোন নিতে পারবেন। চলুন সোনালী ব্যাংক লোন সমূহ জেনে নেওয়া যাক:
  • গ্রামীণ গ্রাহক লোন
  • সাধারণ গ্রাহক লোন
  • গৃহ নির্মাণ লোন
  • শিক্ষা লোন
  • ব্যবসায়ীক লোন 
  • জীবিকা নির্বাহী লোন 
  • SME লোন
  • যানবাহন লোন
  • কৃষি লোন
  • নবায়নযোগ্য শক্তি লোন। 

সোনালী ব্যাংক সঞ্চয়পত্র মুনাফা

বর্তমানে সোনালী ব্যাংকে সর্বমোট চারটি সঞ্চয়পত্র প্রকল্প চালু আছে। চারটি সঞ্চয় পত্রের মুনাফা চার রকম। সোনালী ব্যাংক সঞ্চয়পত্র মুনাফা জানার পর সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত যে আপনি কোন সঞ্চয়পত্র খুলবেন।

নিচে সোনালী ব্যাংক সঞ্চয়পত্র মুনাফা সম্পর্কে আলোচনা করা হলো: 
  • পাঁচ বছর মেয়াদী সঞ্চয়পত্রে ১৫ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করলে আপনি সর্বনিম্ন ৯.৩৫ % থেকে সর্বোচ্চ ১১.২৮ % মুনাফা পাবেন। 
  • তিন মাস অন্তর মুনাফায় এক বছর মেয়াদে আপনি ১০% এবং তিন বছরের মেয়াদে ১১.৪% হারে মুনাফা পাবেন। 
  • পেনশনের টাকা দিয়ে সোনালী ব্যাংকে সঞ্চয়পত্র খুললে আপনি প্রথম বছরে ৯.৭০% মুনাফা পাবেন এবং এই মুনাফার হার পঞ্চম বছরে 11.76 % এ পরিণত হবে ।
  • পরিবার সঞ্চয়পত্র খুললেন আপনি সর্বনিম্ন ৯.৫০% থেকে সর্বোচ্চ ১১.৫২% হারে মুনাফা পাবেন। 

FAQs: সোনালী ব্যাংক সম্পর্কে সাধারণ জিজ্ঞাসা

১) প্রশ্ন: সোনালি ব্যাংক কতটা বিশ্বস্ত?
উত্তর: সোনালী ব্যাংকের সার্ভিস খুব ভালো। যদি তারা বিশ্বস্ত না হত তাহলে এতদিন সোনালী ব্যাংকের টিকে সম্ভব হতো না।

২) প্রশ্ন: পাঁচ বছরে মিলিওনিয়ার হতে হলে কি করতে হবে?
উত্তর: পাঁচ বছরে মিলিওনিয়ার হতে হলে মিলিওনিয়ার স্কিমে সোনালী ব্যাংকে প্রতিমাসে 14,325 টাকা জমা দিতে হবে।

৩) প্রশ্ন: পুরো দেশে সোনালী ব্যাংকের কতটি শাখা রয়েছে?
উত্তর: পুরো দেশে সোনালী ব্যাংকের  ১২৩২ টি শাখা রয়েছে।

৪) প্রশ্ন: সোনালী ব্যাংক পি এল সি মানে কি?
উত্তর: সোনালী ব্যাংকের পুরো নাম সোনালী ব্যাংক পি এল সি। অর্থাৎ সোনালী ব্যাংক পাবলিক কোম্পানি।

৫) প্রশ্ন: সোনালী ব্যাংক থেকে কি  বিকাশে টাকা পাঠানো যায়? 
উত্তর: সোনালী ব্যাংক বাংলাদেশের দ্বিতীয় রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংক। তাই সোনালী ব্যাংক থেকে বিকাশে টাকা পাঠানো যায়। 

লেখকের শেষ কথা

আপনার যদি ব্যবসা করার ইচ্ছা থাকে আর ব্যাংক থেকে লোন নেওয়ার কথা ভাবেন তাহলে আপনার জন্য সোনালী ব্যাংক উত্তম হবে। এর আগে অবশ্যই আপনার সোনালী ব্যাংক ব্যবসায়িক লোন নেওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জেনে নেওয়া প্রয়োজন। তাই আপনাদের সুবিধার্থে এই পোস্টে  ব্যবসায়িক লোন নেওয়ার নিয়ম সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। আশা করি আপনি উপকৃত হয়েছেন।

শুধু লোন তো হবে না পরিবারের কথাও চিন্তা করতে হবে। তাই আমি এই পোস্টে সোনালী ব্যাংক লোন চার্ট - সোনালী ব্যাংক পরিবার সঞ্চয় পত্র বিষয়টি তুলে ধরেছে। এতে আপনি লোন নেওয়ার আগে সতর্ক হবেন এবং ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করবেন। সোনালী ব্যাংক লোন চার্ট - সোনালী ব্যাংক পরিবার সঞ্চয় পত্র আর কোন প্রশ্ন থাকলে কমেন্ট বক্সে জানাবেন। ধন্যবাদ আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়ার জন্য। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url