,

সোনালী ব্যাংক সেভিংস একাউন্ট সুবিধা - সোনালী ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম

সোনালী ব্যাংক খুবই আস্থাভাজন একটি ব্যাংক। তাই অনেকেই সোনালী ব্যাংকে একাউন্ট খুলতে চাই। কিন্তু তারা সোনালী ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম - সোনালী ব্যাংক সেভিংস একাউন্ট সুবিধা সম্পর্কে অবগত নয়। তাদের জন্য এই আর্টিকেলে সোনালী ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম - সোনালী ব্যাংক সেভিংস একাউন্ট সুবিধা সম্পর্কে আলোচনা করা হবে।
অনেক আগে থেকেই সোনালী ব্যাংক গ্রাহকদের মাঝে একটি ভরসা তৈরি করে নিয়েছে। তাই বর্তমান সময়ে অনেকেই সোনালী ব্যাংকে একাউন্ট খুলতে চাই এবং সোনালী ব্যাংক সেভিংস একাউন্ট সুবিধা সম্পর্কে জানতে চাই। চলুন তাহলে আর কথা না বাড়িয়ে সোনালী ব্যাংক সেভিংস একাউন্ট সুবিধা সম্পর্কে জানা যাক।

সোনালী ব্যাংক একাউন্টের সুবিধা


প্রত্যেকটি মানুষের আলাদা আলাদা সেভিংস থাকে। সেই টাকাগুলো বাড়িতে রাখা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যায়। তাই একজন ব্যক্তির কাছে যখন বেশি পরিমাণে টাকা হয়ে যায় তখন সে টাকাগুলো ব্যাংকে রাখে। আমরা যখন টাকা ব্যাংকে রাখি তখন অনেকগুলো অপশন আমাদের সামনে আসে। কারণ আলাদা আলাদা ব্যাংকে আলাদা আলাদা একাউন্ট করার সুযোগ থাকে। সেই একাউন্টগুলোর মাধ্যমে আপনি আপনার টাকা রাখতে পারবেন।

যখন আপনি সেভিংস একাউন্টে আপনার টাকাগুলো রাখবেন তখন আপনার টাকাগুলো নিরাপদে থাকবে। তাই একটি ব্যাংক একাউন্ট থাকা অত্যন্ত জরুরি এবং একটি ব্যাংক একাউন্টের অনেকগুলো সুবিধা আছে। এই মুহূর্তে আমরা সোনালী ব্যাংক একাউন্টের সুবিধা সম্পর্কে জানব। বাংলাদেশের বৃহত্তম রাষ্ট্রীয় মালিকাধীন ব্যাংক হচ্ছে সোনালী ব্যাংক।

সোনালী ব্যাংকের গ্রাহক হওয়ার আগে সোনালী ব্যাংক একাউন্টের সুবিধা সম্পর্কে জেনে নেওয়া প্রয়োজন। যদি সোনালী ব্যাংকে একাউন্ট খোলেন তাহলে আপনি বেশ কিছু সুবিধা উপভোগ করবেন। নিচে সোনালী ব্যাংক একাউন্টের সুবিধা উল্লেখ করা হলো: 
  • অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে এক্সট্রা কোন চার্জ লাগে না। একাউন্ট খোলার সময় যে টাকা দিতে হয় সেটি ব্যাংক একাউন্টে জমা থাকে।
  • অ্যাকাউন্ট খোলার পর চেক বুক, পাস বুক দিয়ে দেওয়া হয়।
  • এক শাখা থেকে অন্য শাখায় যে কোন সময় অ্যাকাউন্ট ট্রান্সফার করা যায়। 
  • চেক বুক, এটিএম কার্ড ব্যবহার করে যে কোন সময় টাকা উত্তোলন করা যায়।
  • অনলাইন ব্যাংকিং অর্থাৎ মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে যেকোনো সময় টাকা উত্তোলন, টাকা ট্রান্সফার করা যায়।
  • সোনালী ব্যাংক একাউন্ট সচল রাখার জন্য অ্যাকাউন্টে ১০০০ টাকা রাখলে যথেষ্ট।

সোনালী ব্যাংক একাউন্ট প্রকারভেদ

ব্যাংকগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের পর সোনালী ব্যাংকের অবস্থান। আস্থার অপর নাম সোনালী ব্যাংক। বর্তমানে সোনালী ব্যাংক গ্রাহকদের বিভিন্ন রকম সেবা প্রদান করে। সঠিকভাবে গ্রাহকদের সেবা প্রদান করাই সোনালী ব্যাংকের মূল উদ্দেশ্য।

সোনালী ব্যাংকে একাউন্ট খোলার আগে আপনার সোনালী ব্যাংক একাউন্ট প্রকারভেদ সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। বর্তমানে সোনালী ব্যাংকে তিন প্রকার অ্যাকাউন্ট বেশি জনপ্রিয়। একেক একাউন্টের সুবিধা একেক রকম। চলুন সোনালী ব্যাংক একাউন্ট প্রকারভেদ সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক: 

কারেন্ট/চলতি অ্যাকাউন্ট:

যে অ্যাকাউন্ট বর্তমানে চলমান সেটি হচ্ছে চলতি একাউন্ট। সাধারণত ব্যবসায়ীরা কারেন্ট একাউন্ট ব্যবহার করেন। যারা নিয়মিত সোনালী ব্যাংক থেকে লেনদেন করেন তাদের জন্যই সোনালী ব্যাংক কারেন্ট একাউন্ট। 

সেভিংস অ্যাকাউন্ট: 

যারা অর্থ সঞ্চয় করতে চান তারা সবাই ব্যাংকে সেভিংস একাউন্ট খুলতে পারেন। সোনার ব্যাংক সেভিংস একাউন্টে অনেক নিরাপত্তা বজায় রাখে। তাই আপনি চাইলে সোনালী ব্যাংক সেভিংস একাউন্টে নিশ্চিন্তে অর্থ জমা রাখতে পারেন। 

অনলাইন অ্যাকাউন্ট: 

সোনালী ব্যাংক অনলাইনে একাউন্ট খোলার ব্যবস্থা চালু করেছে। অনলাইন একাউন্টে আপনি যখন ইচ্ছা তখন টাকা জমা টাকা উত্তোলন করতে পারবেন। এছাড়াও সোনালী ব্যাংক অনলাইন একাউন্টে সেভিংস অপশন চালু করেছে।

সোনালী ব্যাংক পার্সোনাল হোম লোন


হোম লোন সাধারণত বাড়ি তৈরির জন্য ব্যবহার হয়। একজন দরিদ্র ব্যাক্তি যখন তার বাড়ির কাজ সম্পন্ন করতে পারে না তখন সে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ এমাউন্ট ব্যাংক থেকে লোন গ্রহণ করে এবং সেই লোনের নাম হয় হোম লোন। হোম লোন গুলোর মাধ্যমে, এখনকার সময় দরিদ্র মানুষগুলো তাদের শখের বাড়িতে তৈরি করতে পারছে। আপনি একটি নির্দিষ্ট মেয়াদী লোন গ্রহণ করতে পারবেন।

কারণ একটা সময় পর সম্পূর্ণ টাকা ব্যাংক গুলোকে ফেরত দিতে হয়। সোনালী ব্যাংক পার্সোনাল হোম লোন বাড়ি তৈরি, ফ্ল্যাট কেনা এসবের জন্য নেওয়া হয়। সোনালী ব্যাংক পার্সোনাল হোম লোন নেওয়ার জন্য নাকি নিকটস্থ সোনালী ব্যাংকে আবেদন করতে হবে। আবেদন করার জন্য:
  • আপনার নির্দিষ্ট আয়ের উৎস থাকতে হবে। 
  • আপনার বয়স ২১ বছরের ওপরে হতে হবে। 
  • বাড়ি তৈরির নকশা অথবা ফ্ল্যাটের বিবরণ ব্যাংকে জমা দিতে হবে। 
  • একজন গ্যারেন্টার লাগবে যিনি সোনালী ব্যাংকের গ্রাহক।
  • ব্যাংক থেকে দেওয়া ফরম ভালোভাবে পূরণ করে, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে হবে।

পার্সোনাল হোম লোন এর ওপর সুদের হার অন্যান্য লোনের মতই। আসলে হোম লোনের সময়সীমা আপনার নেওয়া লোনের পরিমাণ এর ওপর নির্ভর করবে। আশা করি আপনি সোনালী ব্যাংক পার্সোনাল হোম লোন সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।

সোনালী ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম

বর্তমানে একটি ব্যাংক একাউন্ট খুবই প্রয়োজন। কারণ আমরা বড় বড় কাজ অনেক টাকা লেনদেন করি। অনেক টাকার লেনদেনের ক্ষেত্রে ব্যাংক একাউন্ট এর বিকল্প নেই। সোনালী ব্যাংক আস্থার অপর নাম। তাই সোনালী ব্যাংকেই বেশির ভাগ মানুষ অ্যাকাউন্ট খুলে।

সোনালী ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম জেনে নিতে হবে। তাহলে আপনি পরবর্তীতে কোন বিভ্রান্তিতে করবেন না।  সোনালী ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম নিম্নরূপ :
আপনাকে প্রথমে নিকটস্থ সোনালী ব্যাংকে যেতে হবে। এরপর একাউন্ট খোলার জন্য সোনালী ব্যাংক থেকে একটি ফর্ম সংগ্রহ করতে হবে। সবে সকল তথ্য ও ভালোভাবে লিখে ফরম পূরণ করতে হবে। ফর্মে উল্লেখিত সকল কাগজপত্র, ফরমের সাথে সংযুক্ত করতে হবে। এরপর ফরমটি ব্যাংক কর্মকর্তার কাছে জমা দিতে হবে। 

ব্যাংক কর্মকর্তা আপনার ফর্ম ও সকল কাগজপত্র যাচাই বাছাই করবে। কিছুক্ষণের মধ্যেই আপনার একাউন্ট খোলা হয়ে যাবে। একাউন্ট খোলার জন্য আপনাকে কিছু অর্থ প্রদান করতে হবে। যেগুলো পরবর্তীতে আপনার একাউন্টে জমা থাকবে। 

এছাড়াও সোনালী ব্যাংক বর্তমানে অনলাইন সেবা চালু করেছে। আপনি অনলাইন থেকে ফ্রম সংগ্রহ করে অনলাইনের মাধ্যমে ব্যাংক একাউন্ট খুলতে পারবেন। আপনার সুবিধা অনুযায়ী আপনি সোনালী ব্যাংক একাউন্ট খুলতে পারবেন। 

সোনালী ব্যাংক সেভিংস একাউন্টের সুবিধা

যারা অর্থ সঞ্চয় করতে চান তারা সবাই সোনালি ব্যাংকে সেভিংস একাউন্ট খুলতে পারেন। সোনালি একাউন্ট ব্যাংক সেভিংস একাউন্টে অনেক নিরাপত্তা বজায় রাখে। তাই আপনি চাইলে সোনালী ব্যাংক সেভিংস একাউন্টে নিশ্চিন্তে অর্থ জমা রাখতে পারেন। 

বাংলাদেশের বৃহত্তম রাষ্ট্রীয় মালিকাধীন ব্যাংক হচ্ছে সোনালী ব্যাংক। সোনালী ব্যাংকের গ্রাহক হওয়ার আগে সোনালী ব্যাংক সেভিংস একাউন্টের সুবিধা সম্পর্কে জেনে নেওয়া প্রয়োজন। যদি সোনালী ব্যাংকে সেভিংস একাউন্ট খোলেন তাহলে আপনি বেশ কিছু সুবিধা উপভোগ করবেন। নিচে সোনালী ব্যাংক সেভিংস একাউন্টের সুবিধা উল্লেখ করা হলো: 
  • অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে এক্সট্রা কোন চার্জ লাগে না। একাউন্ট খোলার সময় যে টাকা দিতে হয় সেটি ব্যাংক একাউন্টে জমা থাকে।
  • অ্যাকাউন্ট খোলার পর চেক বুক, পাস বুক দিয়ে দেওয়া হয়।
  • এক শাখা থেকে অন্য শাখায় যে কোন সময় অ্যাকাউন্ট ট্রান্সফার করা যায়। 
  • চেক বুক, এটিএম কার্ড ব্যবহার করে যে কোন সময় টাকা উত্তোলন করা যায়।
  • অনলাইন ব্যাংকিং অর্থাৎ মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে যেকোনো সময় টাকা জমা করা যায়।
  • সোনালী ব্যাংক একাউন্ট সচল রাখার জন্য অ্যাকাউন্টে ১১০০ টাকা রাখলে যথেষ্ট।
  • সোনালী ব্যাংকে সেভিংস একাউন্ট খুললে আপনি ক্রেডিট অথবা ডেবিট কার্ডের সুবিধা ভোগ করতে পারবেন। 

সোনালী ব্যাংকে একাউন্ট খুলতে কি কি লাগে? 


অনেকে বর্তমান সময়ে বিভিন্ন ধরনের ব্যাংক একাউন্ট করতে আগ্রহী হন। কারণ একটি ব্যাংক একাউন্টের মাধ্যমে আপনি চাইলে আপনার ক্রেডিট এবং ডেবিট কার্ড তৈরি করতে পারবেন। তো এখন আপনাদের মনে প্রশ্ন আসতে পারে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলতে কি কি প্রয়োজন হয়। তো এখন এ বিষয়ে আলোচনা করা হলো।

বাংলাদেশ ব্যাংকের পর আস্থার দিক দিয়ে সোনালী ব্যাংক সবচেয়ে এগিয়ে। তাই সোনালী ব্যাংকে একাউন্ট খোলার হার বেশি। সোনালী ব্যাংকে একাউন্ট খুলতে কি কি লাগে না জানলে আপনি সকল কাগজপত্র নিয়ে নিকটস্থ সোনালি ব্যাংকে গিয়ে অ্যাকাউন্ট খুলবেন কিভাবে। তাই এই পোস্টে সোনালী ব্যাংকে একাউন্ট খুলতে কি কি লাগে তুলে ধরা হলো: 
  • আবেদন কারীর দুই কপি পাসপোর্ট সাইজ এর রঙিন ছবি।
  • আবেদনকারীর ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি।
  • যিনি নমিনি হবেন তার দুই কপি রঙিন পাসপোর্ট সাইজের ছবি ও ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি।
  • বাড়ির যে কোন বিলের কাগজ।
  • ব্যাংক হতে দেওয়া ফার্মটি সংগ্রহ করে ভালোভাবে পূরণ করে জমা দেওয়া। 
আশা করি আপনি বুঝতে পেরেছেন যে সোনালী ব্যাংকে একাউন্ট খুলতে কি কি লাগে। 

সোনালী ব্যাংক সেভিংস একাউন্ট ইন্টারেস্ট রেট 

অনেকে সোনালী ব্যাংকে সেভিংস একাউন্ট খুলতে চান। সেভিংস একাউন্ট খোলার মূল উদ্দেশ্য হল আপনার নির্দিষ্ট টাকার ওপরে কিছু মুনাফা পাওয়ার জন্য। কারণ সেভিংস একাউন্টে টাকা রাখলে বাৎসরিক একটা ইন্টারেস্ট পেয়ে থাকবেন। অন্যান্য অ্যাকাউন্ট গুলোর মত সেভিংস একাউন্ট কিন্তু এটার একটি এক্সট্রা ফিউচার আছে।

এটা হল এই একাউন্টের মধ্যে আপনি টাকা গুলো সংরক্ষণ করতে পারবেন এবং সেই টাকার ওপর একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ ইন্টারেস্ট রেট গ্রহণ করতে পারবেন। বর্তমান সময়ে সেভিংস একাউন্ট অত্যন্ত জনপ্রিয়। কারণ এইখানে সকল ধরনের মানুষ টাকা রাখতে পারে। এমনকি একজন দরিদ্র ব্যক্তি তার ইনকাম করার টাকার মধ্যে কিছু পরিমাণ টাকা সেভিংস একাউন্টে জমা করতে পারে।

সেভিংস একাউন্টের আরেকটি সুবিধা হল আপনি যখন ইচ্ছা তখন এবং যত টাকা ইচ্ছা তত টাকা জমা রাখতে পারবেন। আপনি যদি চান একমাস পর টাকা জমা রাখবো তাও পারবেন আপনি যদি চান প্রত্যেক দিনে দুইবার একাউন্টে টাকা জমা করব সেটাও পারবেন। এবং টাকা জমা রাখার কোন নির্দিষ্ট লিমিট নেই। আপনি চাইলে ৫০০ টাকাও রাখতে পারেন আবার ১০০০ টাকাও রাখতে পারেন।

তাই সেভিংস একাউন্ট দরিদ্র এবং ধনী ব্যক্তিদের উভয়েরই পছন্দ। সোনালী ব্যাংকের সেভিংস একাউন্ট খোলার আগে আপনি অবশ্যই সোনালী ব্যাংক সেভিংস একাউন্ট ইন্টারেস্ট রেট জানতে চাইবেন। সোনালী ব্যাংকে ৫ ধরনের সেভিংস একাউন্ট খোলা যায়। সোনালী ব্যাংক সেভিংস একাউন্ট ইন্টারেস্ট রেট নিম্নরূপ: 
সাধারণ সেভিংস একাউন্ট এ ইন্টারেস্ট রেট ৫% থেকে ৬.৫%। 
সোনালী ডেভেলপমেন্ট সেভিংস একাউন্টে ইন্টারেস্ট রেট ৬% থেকে ৭%। 
প্রবাসে সেভিংস একাউন্টে ইন্টারেস্ট রেট ৬.৫% থেকে ৭.৫%। 
সোনালী ওয়ার্কার্স সেভিংস একাউন্ট ইন্টারেস্ট রেট ৬% থেকে ৭%। 
সোনালী সিনিয়র সেভিংস অ্যাকাউন্টে ইন্টারেস্ট রেট ৬.৫% থেকে ৭.৫%।

ইন্টারেস্ট রেট অর্থাৎ সুদের হার বিভিন্ন সময় পরবর্তীতে হয়। তাই সব সময় সোনালী ব্যাংক শাখা থেকে আপডেট খবর রাখবেন। আর সুদের হার অর্থাৎ ইন্টারেস্ট রেট সেভিংস অ্যাকাউন্টের ধরন, টাকার পরিমান, টাকা জমা রাখার মেয়াদ এসবের উপর নির্ভরশীল।

সোনালী ব্যাংকে একাউন্ট খুলতে কত টাকা লাগে?

অনেকেই প্রশ্ন করেন যে  সোনালী ব্যাংকে একাউন্ট খুলতে কত টাকা লাগে? সোনালী ব্যাংক একাউন্ট খুলতে কোন টাকা লাগে না। এখন খোলার জন্য যে ফোন দেওয়া হয় সে ফর্মের জন্য কিছু টাকা লাগতে পারে। ফর্ম জমা দেওয়ার সময় কত টাকা জমা দেওয়া লাগবে এটি ব্যাংকের নীতির উপর নির্ভরশীল।

অর্থাৎ ব্যাংক খোলার সময় যে টাকা নেওয়া হয় সেটি ফ্রমের টাকা। আবার অনেক ক্ষেত্রে ব্যাংক একাউন্ট সচল করার জন্য টাকা নেওয়া হয়। কিন্তু এই টাকা আপনার একাউন্টে রয়ে যায়। অনেকে ভাবে এই টাকাটি অ্যাকাউন্ট খোলার টাকা। কিন্তু বিষয়টি সেটা নয়। এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে সোনালী ব্যাংকের ওয়েবসাইট অথবা সোনালী ব্যাংকের শাখায় যোগাযোগ করুন। 

অনলাইনে সোনালী ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম

যেহুতু আমরা ডিজিটাল যুগে প্রবেশ করেছি, তাই আমাদের অনলাইন ব্যাংকিং সুবিধা খুবই প্রয়োজন। তাই সোনালী ব্যাংক অনলাইন ব্যাংকিং সুবিধা চালু করেছে। এখন ঘরে বসে অনলাইনে সোনালী ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম জেনে নিয়ে সোনালী ব্যাংক একাউন্ট খোলা সম্ভব। 

অনলাইনে সোনালী ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম নিম্নরূপ: 
প্রথমে আপনাকে 'সোনালী ব্যাংক ই সেবা অ্যাপ' ডাউনলোড করতে হবে। কোন অ্যাকাউন্ট খুলবেন অ্যাপ থেকে সেটি সিলেক্ট করতে হবে। এরপর আপনার সচল মোবাইল নাম্বার প্রদান করতে হবে। কিছুক্ষণ পর আপনার নাম্বারে ওটিপি আসবে। ওটিপি দিয়ে লগইন করতে হবে। 

এরপর আপনাকে তারা একটি সেলফি গ্রহণ করতে বলবে।অ্যাকাউন্টের ধরণ নির্বাচনের পর আপনার সামনে একটি ফরম আসবে। ফ্রমে সকল তথ্য দিয়ে ফর্মটি সাবমিট করতে হবে।

এরপর আপনার জাতীয়  পরিচয় পত্রের দুই পাশের ছবি ক্লিয়ার ভাবে তুলে সাবমিট করতে হবে। এরপর অ্যাপ থেকে আপনাকে নিকটস্থ সোনালী ব্যাংকের লোকেশন দেখাবে। নিকটস্থ সোনালী ব্যাংকে যেয়ে বাকি কাগজগুলো জামা দিতে হবে। আশা রাখছি আপনি অনলাইনে সোনালী ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম জেনে অনেক উপকৃত হয়েছেন।

লেখকের শেষ কথা

অন্যান্য সকল বিষয়ের সাথে সোনালী ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম - সোনালী ব্যাংক সেভিংস একাউন্ট সুবিধা সম্পর্কে বেশ কিছু তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে। যেহেতু বাংলাদেশে এখন সোনালী ব্যাংক বিস্তর শিকড় ছড়িয়ে ফেলেছে তাই সকলের সোনালী ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম - সোনালী ব্যাংক সেভিংস একাউন্ট সুবিধা জানা প্রয়োজন ,এতে সবাই উপকৃত হবে। আস্থার অপর নাম সোনালী ব্যাংক।

আশা করি আজকের আর্টিকেলটি আপনার ভালো লেগেছে। আর্টিকেলটি পড়ে উপকৃত হলে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করে, তাদের জানার সুযোগ করে দিন। ধন্যবাদ 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url